
নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূয়া এডভোকেট পরিচয় দিয়ে চাকুরির প্রলোভন সহ ব্যাবসার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবদাস কুমার মিস্ত্রী নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে । এদিকে প্রতারনা বুঝতে পেরে স্থানীয় থানা অভিযোগ করলে লাপাত্তা হয়েছে সেই প্রতারক । দেবদাস মিস্ত্রী সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার বাগবাটি গ্রামের মৃত হরেন্দ্র নাথ মিস্ত্রীর ছেলে । ভুক্তভোগী হলেন ,শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের বিমল কৃষ্ণ মল্লিকের ছেলে শংকর কুমার মল্লিক ।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তার বাসাবাড়িতে মার্সিক দেড় হাজার টাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকেন দেবদাস কুমার মিস্ত্রী । এরপর কিছুদিন পরে তিনি সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন তার সাথে । এর কয়েকদিন যেতে না যেতে সোনালী মুরগীর ফার্মের ব্যাবসার কথা বলে সুকৌশলে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রথমে দশ হাজার এর পরে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় । পরবর্তীতে তার ভাগিনা শান্তুনু মন্ডলের কাছ থেকে সাউথ বাংলা ব্যাংকে অফিস সহায়ক পদে চাকুরীর দেওয়ার নামে করে জনতা ব্যাংকের একটি ভূয়া চেক দিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় । এরপরে ২০ মে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সোনালী মুরগী অন্যত্র ৬৯ হাজার টাকা বিক্রি করে ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে ঘরের লকার থেকে তার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল সহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে রাতারাতি পালিয়ে যায় প্রতারক দেবদাস । এরপর থেকে লাপাত্তা রয়েছে সে ।
তিনি আরো জানান, এরপরে দেবদাসের বাসায় গিয়ে মুঠো ফোনে ফোন দিলে টাকা দিতে পারবেনা বলে উল্টো মামলা করার হুমকি দেন । এ বিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দেবদাস কুমার মিস্ত্রী সাথে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনে মুঠোফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) শফিকুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে । ঘটনাস্থল শ্যামনগর থানায় হওয়ায় ভুক্তভোগীকে শ্যামনগর থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।