
জাতীয় ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের ব্যানারে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ও ছবি না থাকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এমপির উপস্থিতিতে হামলা চালিয়েছে তার সমর্থকরা। এসময় মারধর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। হামলায় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় যোগ দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আশানূর বিশ্বাস দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন। এসময় ব্যানারে এমপি মমিন মন্ডলের ছবি ও নাম না থাকায় এমপি সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাসের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আশানুর বিশ্বাসের সমর্থক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রতিবাদ করলে এমপির উপস্থিততেই তার সমর্থকরা হামলা চালায়। হামলা ও সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। এমপি সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে নিচে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাস জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন একটি জাতীয় অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো ছবি থাকতে পারে না। ওই ব্যানারে সভাপতির নাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার নামও নেই। এমপির সাথে পতাকা উত্তোলন করে পার্টি অফিসের ভেতরে যাই। এ সময় এমপির সাথে থাকা আলোচিত হুদা খুনের আসামিরা পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে। পরে ব্যানারে এমপির নাম ও ছবি না থাকায় তার সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে হামলা করে। এমনকি আব্দুস সবুর আকন্দ নামে এক সন্ত্রাসী ধাক্কা দিয়ে পার্টি অফিস থেকে আমাকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, পার্টি অফিসের ভেতরে ব্যানারকে কেন্দ্র করে এমপি মমিন মন্ডল ও আশানুর বিশ্বাসের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. কেএম হোসেন আলী হাসান জানান, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজন ও দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্তপূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।