নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজারের প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক আব্দুল মজিদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ…….রাজেউন) মৃতকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। তিনি কুল্যা গ্রামের আব্দুল বারি সরদারের বড় ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, প্রয়াত ডাঃ আব্দুল মজিদ দীর্ঘদিন হার্ড, লিভার, কিডনি ও ডায়বেটিস জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরা বুশরা হাসপাতাল, খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কয়েকমাস ঢাকায় বারডেম হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন। এসকল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকবার করোনা পরীক্ষা তার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে বেড রেষ্টের জন্য তাকে গ্রামের বাড়ি বুধহাটায় নিয়ে আসা হয়। ঈদের দিন সন্ধ্যায় হঠাৎ তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে সাতক্ষীরা হার্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার কুল্যা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদ ময়দানে মরহুমের জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী, ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মাজেদ গাজী, আওয়ামীলীগ নেতা ওমর সাকী পলাশ, প্রেসক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এসকে হাসান, ডাঃ বেলায়েত আলী, মাওঃ ইলিয়াস আলী, উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জজ, সামাজিক বন্ধন সাধারণ সম্পাদক এসকে রাজা, ডাঃ আব্দুল হামিদ, ডাঃ আলমগীর কবির, ডাঃ ফিরোজা খানম, প্রেসক্লাব সদস্য শেখ বাদশা সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ভাগ্না মাওঃ আয়াতুল্লাহ হোসেন এবং দাফন শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওঃ মাসুম বিল্লাহ সুজন। প্রয়াত ডাঃ আব্দুল মজিদ যশোর বেজপাড়া এলাকার বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক স্বর্গীয় হরেন্দ্র মুখার্জীর ছাত্র ছিলেন। আশাশুনি উপজেলায়
একজন সুনামধন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে সু-পরিচিত ছিলেন তিনি।
প্রয়াত আব্দুল মজিদ সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদের ভাগ্নে, আশাশুনি প্রেসক্লাব সদস্য শেখ বাদশা’র বোন জামাই ও নিশান কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শেখ নজরুদ্দীনের মেঝো জামাতা ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র সন্তান সহ বহু গুণগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।