
নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২২ জানুয়ারী দেশব্যাপি বিএনপি’র জনসভা সফল করার লক্ষে জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ১২টায় তুফান কনভেনশন সেন্টারে প্রস্তুতি সভার শুরুতেই এ ঘটনা ঘটে। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর অতর্কিত হামলায় সভাস্থলে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে দুইজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সভা শেষ করার নির্দেশ দেয়। নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক সভা শেষ করে সভাস্থল ত্যাগ করেন। বিএনপি’র একাধিক নেতা-কর্মী জানান, শহরের লেকভিউ সম্মেলন কক্ষে জেলা বিএনপি’র প্রস্তুতি সভা চলছিল। এরই মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন নিরব ও সদস্য শাহাদাত হোসেনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে সোহেল গ্রুপ। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মুহুর্তেই ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় এনে পুনরায় সভা শুরু করেন।
মূলত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এবং দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করতে এধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সোহেল আহমেদ মানিক আমান উল্লাহ আমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। বিভিন্ন সভা সমাবেশে মানিকের নেতৃত্বে সংঘর্ষ সৃষ্টি এবং দলের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে সোহেল। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে সভা বন্ধ করতে বললে তাৎক্ষণিক নেতাকর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন নিরব বলেন, পুর্ব পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের অসম্মান ও আমাকে মারধর করা হয়েছে। সভা চলাকালীন হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই আমান হত্যা মামলার অন্যতম আসামী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সোহেল আহমেদ মানিক তার লোকজন নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এসময় আজিজ, করিম, মনি, হাবলু, মুকুল, সরোয়ার, মিলন সিকদারসহ অনেকেই আমাকে মারধর করেছে। প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, আগামী ২২ জানুয়ারী দেশব্যাপি বিএনপি’র জনসভা সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভায় গিয়েছিলাম। সভার এক পর্যায়ে সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে ঈসমাইল হোসেন নিরব ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাহাদাত হোসেনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। তাৎক্ষণিক আমরা বিষয়টি সমাধানের পর পুনরায় সভা শুরু করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে আসে এবং মিটিং শেষ করে আমরা সভাস্থল ত্যাগ করি। মুলত সভা পন্ড হওয়ার আগেই আমাদের সকল আলাপ আলোচনা শেষ হয়েছে। জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, গণমাধ্যমে আসার মত তেমন কিছু হয়নি। নিজেদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ঠিক হয়ে গেছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সোহেল আহমেদ মানিককে বহিস্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।