নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে দুই সন্তান রেখে গত ২ মে ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার হাকিমপুরের তারালী গ্রামের মৃত জালাল সরদারের মেয়ে খাদিজা খাতুন (২৪)।
এ ঘটনায় তার স্বামী ভারতের তারালী পুলিশ ক্যাম্পে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে বাংলাদেশে জাস্টিস কেয়ার নামে একটি সংস্থা ওই নারীর সন্ধান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে সংস্থাটি জানতে পারে খাদিজা খাতুন যাশোর জেলার শার্শা থানার চালতিবাড়ীয়ার দিঘার সোনাতনকাটি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুর রহমানের বাড়িতে আছে। সেখান থেকে ঐ নারীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
পরে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সীমান্তের সাব পিলার ১৩ এর ৩ আরবি ৫ এর কাছে অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে খাদিজা খাতুনকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কাঁকডাঙ্গা বিওপির কমান্ডার আ ফ ম ওসমানীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন। ভারতের পক্ষে অংশ নেন তারালী বিএসএফ ক্যাম্পের পক্ষে কমান্ডার রিশি মিশারা নেত্বতাধীন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যার ভুট্টো লাল গাইন, ইউপি সদস্য ইয়ার আলী, বাংলাদেশে জাস্টিস কেয়ারের প্রতিনিধি এবিএম মহিদ হোসেন, জেলা মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি সাকিব প্রমূখ।
খাদিজা খাতুনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজিবি কর্মকর্তা মাহমুদ জানান, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরুপনগর থানার হাকিমপুরের তারালী গ্রামের খাদিজা খাতুন (২৪) ফেসবুকের মাধ্যমে বাংলাদেশের যশোর জেলার শার্শা থানার চালতিবাড়ীয়ার দিঘার সোনাতনকাটি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে মাহাবুবুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই ছেলে রেখে ভারত থেকে গত ২ মে বাংলাদেশে চলে আসে খাদিজা। এ ঘটনায় তারালী পুলিশ ক্যাম্পে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই নারীর স্বামী। পরে বাংলাদেশে জাস্টিস কেয়ার নামে একটি সংস্থা ওই নারীর সন্ধান শুরু করে এবং তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে। তথ্য অনুযায়ী সেখান থেকে বিজিবি ওই নারীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে অবৈধ উপায়ে দেশে নিয়ে আসা যুবক মাহাবুবুর রহমান পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।