
জাতীয় ডেস্ক:
কৃষকের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এবছর পাট ও পাট জাতীয় (মেস্তা ও কেনাফ) ফসলের বীজের বার্ষিক চাহিদা নির্ধারিত হয়েছে ৬ হাজার ৩৬৯ টন। এরমধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সরবরাহ করবে এক হাজার ৩০০ টন বীজ। আর প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করা হবে।
সম্প্রতি জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এতে সভাপতিত্ব করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ বছরে প্রায় ৭ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট, মেস্তা ও কেনাফ ফসল চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। এতে চাষের জন্য মোট পাটবীজের চাহিদা হলো প্রায় ৬ হাজার ৪০০ টন। এরমধ্যে ৪ হাজার ৬০০ টন ভারতীয় তোষা পাটের জাত জেআরও-৫২৪ এবং ৫৭৬ মেট্রিক টন মেস্তা/কেনাফের (মোট ৫১৭৬ মেট্রিক টন) বীজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২২-২৩ উৎপাদন বছরে ৫ হাজার টন পাটবীজের আমদানির অনুমতির বিপরীতে প্রকৃত আমদানি হয়েছিল ৪ হাজার ১৬৬ টন।
জাতীয় বীজ বোর্ডের একই সভায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি তোষা পাট ও একটি কেনাফ এর জাত ছাড়করণের অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত দুটি ধানের জাত ছাড়করণ করা হয় বলেও কৃষি মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।