মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম: উন্নত বিশে^র দেশ সমূহের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক মানের ই-পাসপোর্টকে উৎসাহিত করতে গিয়ে অঘোষিতভাবে এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা অনেকাংশে বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ব্যতিত অধিকাংশ অফিসে এখন এমআরপি পাসপোর্ট জমা নিচ্ছে না। তাতে ন্যাশনাল আইডি কার্ড বিহীন সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেশী। বিশেষ অনুরোধে এমরআরপি পাসপোর্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসে জমা নিলেও ডেলিভারীর নিশ্চয়তা দিতে পারছেননা দায়িত্বরতরা। এমআরপি পাসপোর্ট জমা করে ছয় মাস থেকে এক বছরেও পাসপোর্ট না ও পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেশী। পাসপোর্ট না পাওয়াতে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য শিক্ষার জন্য যাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশপাশি প্রবাসে কর্মরতরা পরেছে বিপাকে। বাংলাদেশের ৮০% প্রবাসীদের ন্যাশনাল আইডিকার্ড নেই। তার জন্য তারা ইচ্ছা করলেও ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেননা। আইডিকার্ড ব্যাতিত ইপাসপোর্ট ইস্যু না হওয়াতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে পাসপোর্ট প্রত্যাশিরা। বাংলাদেশের প্রায় জায়গায় আইডিকার্ড যথাসময় পাচ্ছেনা বলে অনেকের অভিযোগ।
ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশি এবং এমআরপি পাসপোর্ট প্রত্যাশিরা জানান যে, যদি জন্ম সনদ দিয়ে বা পূর্বের পাসপোর্টের অনুকূলে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় তাতে পাসপোর্ট প্রত্যাশিরা লাভবান হবে। পাসপোর্ট অফিস ঘুরে জানা যায় যে, অসংখ্য প্রবাসী পাসপোর্ট বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। প্রায় প্রবাসীদের পাসপোর্টের ভিসা এন্ট্রি থাকার পরও নতুন পাসপোর্টের জন্য বিদেশে যেতে পারছেনা। অনেকেই পাসপোর্টের কারণে ভিসার টাইম শেষ করে ফেলেছে। সব কিছু বিবেচনা করে নতুনভাবে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার সার্কুলার জারি করার জন্য অনেকেই দাবী করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাইদের কাছে ই-পাসপোর্ট বিড়ম্বনা ও এমআরপি পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ই-পাসপোর্টকে উৎসাহিত করার জন্য এবং এমআরপি অঘোষিত ভাবে ইস্যু করা অনেকাংশে কমিয়ে ফেলেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। তিনি আরও বলেন, হাতের লেখা পাসপোর্ট থেকে রূপান্তরীত হয়ে এমআরপি পাসপোর্ট যখন ইস্যু করা হয়েছিল তখন হাজার কোটি টাকার হাতের লেখা পাসপোর্ট নষ্ট হয়েছে। এটা বিবেচনায় নিয়ে হাতের লেখা পাসপোর্টের মত এমআরপি পাসপোর্টেও যেন বড়ধরনের আর্থিক ক্ষতি সাধিত না হয় সেটার দিকে দৃষ্টি দিয়েছে সরকার। তারপরও তিনি বলেন- বিদেশগামী ও চিকিৎসা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে এমআরপি পাসপোর্ট বিশেষ বিবেচনায় জমা নিয়ে থাকি কিন্তু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কখন পাসপোর্ট পাওয়া হবে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আইডি কার্ডের পাশাপাশি পুলিশ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও যথাসময়ে পুলিশ রিপোর্ট না পাওয়ায় অনেকেই ই-পাসপোর্ট যথাসময়ে পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে।