আহাদুর রহমান:
সাতক্ষীরাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিলম্ব মাশুল আদায় করা হচ্ছে। সেই সাথে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলও দেওয়া হচ্ছে।
সদরের লাবসা গ্রামে কয়েকজন গ্রাহক করোনার কারণে সময়মতো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেনি। তার আরও একটি কারণ হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এই সময়ে বিদ্যুৎ বিল কেউ না দিতে পারলে যেন বিলম্ব মাশুল আদায় করা না হয়। সে মোতাবেক গত ১২ই এপ্রিল সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এক বিশেষ ঘোষণা করে যে, মাশুল ব্যাতিত ফেব্রুয়ারী, মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ পরিশোধ করা যাবে। তাই যে সব গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারেনি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ ওইসব মাসের বিল পরিশোধ করে। কিন্তু মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল আদায় করা হচ্ছে। আবার কারও কারও ভুতুড়ে বিল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সদরের লাবসা ইউনিয়নের তবিদুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমি দুই মাসের বিল পরিশোধ করেছি। আজ (২৮মে) মে মাসের নতুন বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল বাবদ ৫৯০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। অথচ আমি কিছুদিন পূর্বেই মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছি। মে মাসের বিলে বকেয়া বিল না থাকলেও বিলম্ব মাশুল ধার্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ঝাউডাঙ্গা জোনাল অফিস) পংকজ সিকদার এর ০১৭৬৯৪০০২৫৬ নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।