
ফিরোজ হোসেন: সদর উপজেলাধীন ৮ নম্বর ধুলিহর ইউনিয়নের কোমরপুর ঘোষপাড়ায় বে-আইনি ভাবে ইট তৈরি করে কাঠ দিয়ে পোড়ানো অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একশ মন গাছ কেটে পোড়ানো হচ্ছে ইটের পাজা। তার ইটের পাজা থেকে নিগত কালো ধোঁয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর গত ৩ মাস আগে হাজারী মন্ডল নামে এক হিন্দু ব্যক্তির নিকট থেকে জমিটি রেজিস্ট্রি করে নেয়। সেই জমিতে থাকা তাদের বসতবাড়ির মাটি দিয়ে এই জাহাঙ্গীর ঘন বসতি হিন্দু পাড়ার ভেতরে ইট বানিয়ে সেই ইট কাঠ দিয়ে পোড়াচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে অন্যদিকে তেমনি এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগছে। এই পাজা জ্বালানোর দিন থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ ধরে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। যে ধোঁয়ার কারণে পাশে বসতরত পরিবারের মানুষ গুলো বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার উপক্রম । এই কাঠের ধোঁয়া পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ কথা কারো অজানা না থাকলে ও জাহাঙ্গীরের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বেআইনিভাবে এক পাজা ইট পোড়ানোর শেষ প্রায়। আরো ইট পোড়ানোর জন্য নতুন করে ইট প্রস্তুত শুরু করেছে। সাথে সাথে কাটা হচ্ছে প্রচুর পরিমানের গাছ। তার কাট দিয়ে পোড়ানোর এই পদ্ধতিকে পাজা বলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোন ধরণের ইটের ভাটা বা পাজা স্থাপন করা যাবে না। এর বাইরে করতে হলে আইনের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে। যেমন ভাটায় ১২০ ফুট উচ্চতার ধোঁয়া নির্গমনের চুল্লি স্থাপন করা বাধ্যতামূলক হলেও তার কোন বালাই নেই। বিধি নিষেধ রয়েছে জনবহুল এলাকা বা ফসলি জমিতে ইট ভাটা নির্মাণের। ইট পোড়াতে দেশী বা বনজ কোন ধরণের কাঠ ব্যাবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও বাঁধ বিচার ছাড়াই বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছ কর্তন করে হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরের তৈরি করা পাজার নির্গত ধোঁয়ায় বায়ু দূষিত হয়ে নানা রোগব্যাধিসহ কৃষিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জায়গায় আমার লাগানো গাছ কেটে ইট পড়াচ্ছি তাতে কার কি যায় আসে। পারলে যেখানে খুশি জানান। এই অতিষ্ট থেকে বাঁচতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।