লিটন ঘোষ বাপি :
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী দেবহাটায় মাঠে গিয়ে কৃষকের ধান কেটে সাহায্য করলো উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। দেবহাটায় চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অনেক অসহায় কৃষক তাদের জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কৃষকের লোকসান কমানোর জন্য তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রবিবার দিনভর সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের দিঘিরপাড় এলাকায় দেবহাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ,এইচ সোহাগের নেতৃত্বে দুই কৃষকের ২ বিঘা জমিতে ধান কেটে দেয়া হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলো কে বি এ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাহি,সহ সভাপতি ইব্রাহীম,সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন,কেবিএ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান তন্ময়,সাধারণ সম্পাদক হাসিব ইফতি, ছাত্রনেতা রিকু ,মিয়ারাজ, নাঈম, মিলন, আল মামুন,আফিফ,সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ধান কাটার কাজে অংশ নেন। স্থানীয়ও লোকজন ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী এমন কাজে প্রশংসা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক দিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে শ্রমিক সংকটসহ কৃষি মজুরি আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পাকা ধান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। যেখানে আগে দৈনিক মজুরি ছিল ৩০০ টাকা এখন তা দাঁড়িয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। ফলে কৃষকরা মাত্রারিক্ত টাকায় শ্রমিক জোগার করতে দিশাহারা হয়ে পড়ায় ধান নষ্ট হতে চলেছে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে এলাকার দরিদ্র কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ,এইচ সোহাগ বলেন, মানবিক কারণেই আমরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে সহায়তা করেছি। যে সকল দরিদ্র কৃষক জমির ধান কাটতে পারবে না তাদের ধান কাটাসহ বাড়িতে পৌঁছানোর কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। কৃষকরা বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। জমিতে নষ্ট হতে চলছিল পাকা ধান। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটার সাহায্য করেছে তা কখনো ভুলবার নয়।