লিটন ঘোষ বাপি: মানুষকে মহামারী করোনা থেকে বাঁচাতে দেবহাটা উপজেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকা সত্বেও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না অপ্রয়োজনীয় যানবাহন ও অসচেতন মানুষদের।
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস.এম মোস্তফা কামাল ঘোষিত জেলাব্যাপী চলছে দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন। সেই লকডাউন বাস্তবায়নে দেবহাটার মানুষদের মহামারী থেকে বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কালীন বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে কিন্তু কোন বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে মানছেনা সাধারণ মানুষ।
প্রশাসন আরোপিত বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় যানবহন ও মানুষের চলাচল। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকা স্বত্ত্বেও কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছেনা অসচেতন মানুষদের। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে ও লকডাউন বাস্তবায়নে আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে চলতে জনসাধারনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাইকিংসহ আপ্রান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যারিকেড ও চেকপোষ্ট বসিয়ে মানুষের অপ্রোজনীয় চলাচল বন্ধ করতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবুও বন্ধ করা যাচ্ছেনা মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, মোটর ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, প্রাইভেটকারসহ অপ্রয়োজনীয় যানবহনের অবাধ যাতায়াত।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট তল্লাশী সহ বাজার ও জনসমাগম এলাকায় কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না অসচেতন মানুষদের।
থানা পুলিশের পাশাপাশি দেবহাটা উপজেলার মানুষদের মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করাসহ অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার।