
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসে দেশ যখন নিস্তব্ধ সেই সুযোগে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গণহারে পাঁকা দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কলারোয়া সীমান্ত এলাকার আব্দুল আজিজ, আসাদ, বাবুসহ কয়েকজন অসাধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় একের পর এক সরকারী জমি দখল করে আসলেও প্রশাসন ও ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তার এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে দাবী এলাকাবাসীর। এদিকে প্রশাসনের সঠিক নজরদারী না থাকার ফলে প্রভাবশালীরা সরকারী জমি গুলো দখল করে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। যার ফলে তারা এসব অবৈধ কাজ করে পার পেয়ে যাচ্ছেন এবং সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেন। এমনকি এসকল অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের কতিপয় লোকজনকে ম্যানেজ করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে সরকারি জায়গায় পাঁকা ছাঁদ বিশিষ্ট দোকান ঘর তৈরী করছে। স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা বলছেন এ জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আবার দেখা গেল একই সিরিয়ালের একটি জায়গা ডিসিআর ও সংস্কারের আবেদনের পেক্ষিতে অনুমতি দিয়েছেন স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা। সপ্তাহখানেক ধরে এ অবৈধ কাজ চলমান ও প্রশাসনের কোনো তৎপরতা না থাকায় এলাকার সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে ঝাউডাঙ্গা বাজারের ভাংড়াখাল সংলগ্ন স্থানে গণহারে পাঁকা দোকান নির্মাণ করতে দেখা যায়। কলারোয়া সীমান্ত এলাকার আজিজ, আসাদ, বাবুসহ বেশ কয়েকজন সড়কের জায়গায় সামনে টিন দিয়ে ঘিরে ভিতরে কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে তড়িঘড়ি করে পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এসময় অভিযুক্ত আজিজ জানান, আমি আড়াই বছর আগে স্থানীয় এলাকার পরিতোষ সরকারের নিকট থেকে খোলার চাল বিশিষ্ট দোকান ঘরসহ জায়গাটি ক্রয় করি। সেটি ভেঙে এখন আমি নতুন করে দোকান ঘর তৈরী করছি। তবে অভিযুক্ত আরো ব্যক্তিদের কাছে জায়গার ডিসিআর, নির্মাণ ও সংস্কারের আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনোকিছুই করেননি বলে জানান।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জানান, এ বাজারে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভাবে সরকারি জায়গা ও সড়কের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করায় সরকার রীতিমত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিকল্পিত ভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসে তালাবদ্ধ থাকায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে অফিসে যাচ্ছিনা। বাজারে গণহারে পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন জায়গা গুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের আপনি তাদের সাথে কথা বলেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।