
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের শিল্প এশিয়ান গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান এটিএস অ্যাপারেল্স লি.এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের বিরুদ্ধে ৫২ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শিল্পপতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় সম্প্রতি অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এশিয়ান গ্রুপের পরিচালানাধিন এটিএস এ্যাপারেল্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের বিরুদ্ধে তাসিন প্লাস্টিক ইন্ড্রাট্রিজ এর মালিক মো. মহিদুর রহমান বাদী হয়ে ৫২ লক্ষ ১১ হাজার ৬৯৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর কোতোয়ালী থানায় গত বছরের ১৯ জুলাই একটি অভিযোগ করেন। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল উক্ত শিল্পপতি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ড্রস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলমের নিকট পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য লিখিতভাবে বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া টাকা পাওয়ার বিষয়টি বিজিএমইএ চট্টগ্রামের সভাপতি আব্দুস সালামের নিকট বিষয়টি জানানো হয়। তারাও কোন সমাধান দিতে পারেনি।
গত বছরের ১৮ জুন ঢাকার শিল্পপতি মহিদুর রহমান পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডস্থ তার অফিসে গেলে তাকে হুমকি ও গালিগালজ করে অফিস থেকে বের করে দেয় ইউসুফ। উক্ত টাকাগুলো গার্টমেন্টস এসোসিরিস মালামাল ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। টাকা উদ্ধারের জন্য নগরীর কোতোয়ালী থানায় ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস ও বিজিএমইএসহ একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বৈঠক হলেও শিল্পপতি ইউসুফ কারো কথায় পাত্তা দেয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে ঢাকার ব্যবসায়ী মহিদুর রহমানকে টাকা দেয়ার কথা বলে অসংখ্যাবার চট্টগ্রামে আনেন। কিন্তু চট্টগ্রাম আসার পর টাকা পরিশোধ না করে হয়রানি করেন। পাওনা টাকা আদায় করতে এসে প্রায় আরো ১০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ করান। গামেন্টর্স মালামাল সরবরাহ করে টাকা না পেয়ে মহিদুর এখন নিঃস্ব।
এ বিষয়ে এটিএস অ্যাপারেল্স লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগকারীকে চিনে না বলে দাবি করেন, তবে টাকা পাওয়ার যাবতীয় ডকুমেন্ট প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে বলে জানানো হলে অসুস্থতার ভান করে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং তার কাছ থেকে ঢাকার মহিদুর রহমান টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে তাসিন প্লাস্টিক ইন্ড্রাট্রিজ এর মালিক মো. মহিদুর রহমান জানান, মালামাল সরবরাহ করে আমার টাকা না দিয়ে ইউসুফ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। চট্টগ্রামে নাকি তার বিচার কেউ করতে পারবে না। সবাই তার কথায় উঠাবসা করে। আমি থানা পুলিশ ও চেম্বার অব কর্মাস এবং বিজিএমইএ নিকট অভিযোগ করেও তারাও আমাকে কোন সমাধান দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, এশিয়ান গ্রুপের ইউসুপ থেকে ঢাকার ব্যবসায়ী মহিদুর রহমান টাকা আদায়ের জন্য আমার কাছে আসছিল, আমি উক্ত ব্যবসায়ীর টাকা উদ্ধার করে দেয়ার জন্য ইউসুপের পরিবারের সদস্যদের সাথে একাধিবার কথা বলছিলাম, তারা আমাকে উক্ত টাকা দিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিয়ে ছিল পরবর্তী সময়ে টাকা দিয়েছি কিনা আমি জানি না।