
মুরাদ হোসেন বিপ্লব: দীর্ঘদিন দেশের চলমান করোনা সংকটের কারণে বন্ধ ছিল দেশের প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রগুলো। দীর্ঘ করোনার ভয়াবহতার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দেশের প্রতিটি পর্যটন শিল্প ও বিনোদনের স্থল। ফলে লকডাউনে দীর্ঘদিন বাসাবন্দী হয়ে পড়ছিল লাখো ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আবারো খুলে দেওয়া হয় প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদনে স্থল। পর্যটন কেন্দ্র বিনোদনের স্থল খুলে দেওয়ার সাথে সাথে ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
দলে-দলে ভ্রমণ পিপাসুরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছে কিন্তু এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তারা ভুলে গেছে সামাজিক দূরত্বের কথা। মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি। পরিধান করছে না মাস্ক ও ব্যবহার করছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ কোনপ্রকার সুরক্ষা সামগ্রী। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার। কিন্তু কে শুনে কার কথা। এমই চিত্র দেখা যায় আকবরশাহ্ লেকসিটিতে। এ যেন ভ্রমন পিপাসুদের এক মিলন মেলা। প্রায় সবারই মাস্ক নেই বল্লেই চলে, অনেকে মাস্ক পরিধান করলেও নেই সামাজিদ দূরুত্বে বালায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক পরিধান না করার ফলে বাড়তে পারে আবারও স্বাস্থ্যঝুঁকি। এতে করে বাংলাদেশ আবারো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসতে পারে বলে মনে করো করছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ।