
মো: রাকিব, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার ব্যাংক কলোনীর দুই শিশু আফিফা ও লামিয়াকে ধর্ষণ মামলার আসামী সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৪ই জুলাই ধর্ষক সাইফুল ইসলাম বাসায় টিভিতে গান দেখার লোভ দেখিয়ে প্রতিবেশী দুই শিশুকে ধর্ষণ করে মর্মে জানা যায়। দুই শিশু আফিফা ও লামিয়ার বয়স যথাক্রমে ৬ ও ৫। ঘটনার প্রেক্ষিতে আফিফার পিতা আলী আজগর ও লামিয়ার পিতা রুহুল আমি ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দিন রাতে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদার নেতৃত্বে ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে ব্যাংক কলোনী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আফিফার পিতা আলী আজগর ও রুহুল আমিন সাতনদীকে জানান, ধর্ষক সাইফুল ইসলাম আমাদের প্রতিবেশী। আমরা এবং আমাদের স্ত্রী সকলে ইপিজেড গামের্ন্টসে চাকুরী করি। সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীও ইপিজেড গামের্ন্টসে চাকুরী করে। প্রতিদিন চাকুরীতে যাওয়ার সময় আমাদের সন্তানদের বাসায় একলা রেখে যায়। ১৪ই জুলাই বিকাল ৫.৩০ মিনিটে আমাদের কাছে আমাদের আরেক প্রতিবেশী মোস্তফা ও আত্মীয় মিজানুর রহমান ফোন করে আমাদের ও আমাদের স্ত্রী সকলকে বাসায় সমস্যা হয়েছে মর্মে ডাকে। আমরা সন্ধা আনুমানিক ৬ টার সময় বাসায় এসে দেখি আফিফা ও লামিয়া অসুস্থ অবস্থায় ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্নাকাটি করছে। আমার মেয়ের কান্নাকাটির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় আনুমানিক সন্ধা আনুমানিক ৪টার সময় ধর্ষক সাইফুল ইসলাম বাসায় টিভিতে গান দেখার লোভ দেখিয়ে বাসায় নিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং তাদের দুইজনকে ধর্ষন করে। ব্যথার যন্ত্রনায় কান্নাকাটির শব্দ শুনে আমাদের বাসায় আশেপাশের লোকজন ধর্ষক সাইফুল ইসলামের বাসার দিকে এগিয়ে আসলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরেই ইপিজেড থানা থেকে অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদার নেতৃত্বে এএসআই টিটু ও সঙ্গীয় ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষনকারী সাইফুলকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক দুই শিশুকে যৌন নির্যাতন করার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার সকালে আসামীকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরন করা হয়। এলাকাবাসী সংবাদ পত্রের মাধ্যমে ধর্ষক সাইফুল ইসলামে কঠোর শাস্তি ও মৃত্যুদন্ডের দাবী জানায়।