জাতীয় ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফের বৈদ্যঘোনা গহীন পাহাড় থেকে অপহৃত তিন যুবককে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় আটক করা হয়েছে অপহরণ চক্রে জড়িত দুই ভাইকে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে র্যাব ১৫ এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এমন তথ্য জানানো হয়। তবে এর আগে রোববার সন্ধ্যায় অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়। ওই সময় অপহরকারীর আস্তানা থেকে দুটি রাম দা, ২৫ ফুট শিকল, আটটি তালা, দুটি চাবির ছড়া ও তিনটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার তিনজন হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আমান উল্লাহ (১৯), তার বন্ধু সিরাজুল মোবিন (১৮) ও উখিয়ার কুতুপালং এলাকার আবু তাহের (২৭)।
আটক অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন- টেকনাফের মাঠপাড়া এলাকার নজির আহমেদের ছেলে নবী হোসেন (২৭) ও জাহিদ হোসেন কাবিলা (২২)।
এক বার্তায় র্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম খান জানান, র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পে ঠান্ডা মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে বলা হয় গত ২৫ মার্চ ভোরে তার ছেলে আমান উল্লাহ ও তার ছেলের বন্ধু সিরাজুল মোবিন ফজরের নামাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। তারা দুজন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উলুবুনিয়া রাস্তার মাথায় পৌঁছালে কতিপয় ব্যক্তি তাদের কাছে সিএনজি মেরামতে জন্য একটি গ্যারেজের সন্ধান চান। গ্যারেজের সন্ধান দেখানোর উদ্দেশে দুজন গাড়িতে উঠলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপহরণকারী দুজনকে জোরপূর্বকভাবে অপহরণ করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যান। এরপর ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অন্যথায় হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ বাজারের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারীর চক্রের সদস্য নবী হোসেন ও জাহিদ হোসেন কাবিলাকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে, র্যাব সন্ধ্যায় টেকনাফের নতুন পল্লানপাড়ার বৈদ্যঘোনা গভীর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত ২ জনসহ তিনজনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে অপর অপহৃত আবু তাহেরকে কুতুপালং এলাকা থেকে ২৫ মার্চ অপহরণ করা হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। এ ব্যাপারে ঠান্ডা মিয়া বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ নিয়ে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ৫৮ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।