
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে খুলনায় খুলছে মার্কেট। রোববার (১০ মে) সকালে মার্কেট খুলেছে। সকালে ক্রেতা না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভিড়। মহানগরীর ডাক বাংলো ও রেলওয়ে মার্কেট এলাকার ১৭টি মার্কেট খুলেছে। অধিকাংশ ক্রেতাই মানছেন না নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে মার্কেটের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ফুটপাতে হকার ও অস্থায়ী দোকান বসানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়। অভিজাত নিউ মার্কেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালুর ক্ষেত্রে দোকানগুলোর সামনে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সাদা রঙের বিত্ত তৈরি করা হয়েছে। শপিং কমপ্লেক্স ও জলিল মার্কেটসহ কয়েকটি অভিজাত এলাকায় দোকান খোলা রাখার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মার্কেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে আশে-পাশের এলাকার হার্ডওয়ার, স্টেশনারি, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানও স্বাভাবিক সময়ের মতো খুলেছেন দোকানিরা। যে মার্কেট খুলেছে তার ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচুর সংকটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে তা কিছুটা হলেও আমাদের সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। সরকারের বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করেছি।
অনেকে বলছেন, ফুটপাতের হকার ও অস্থায়ী দোকান খুলছে না। এসব ব্যবসায়ীরা তো দিন আনেন দিন খায়। মার্কেটের মালিকদের তো দোকান বন্ধ থাকলে তেমন ক্ষতি হতো না। তাদের খুলে দেওয়া হলো কিন্তু ফুটপাতের দোকান খোলা হলো না।মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়। খুলনা বিপণি কেন্দ্রের পাশের দোকানি জিয়াউল হক মিলন বলেন, খুলনার মার্কেট খুলেছে। সকালে ক্রেতা তেমন না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে। অধিকাংশ লোকই নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের বিধান মানছেন না।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. সামিউল হক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই অধিক সংক্রমণঝুঁকি নিয়ে খুলনায় মার্কেট খোলাটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ফেনী এবং ফরিদপুর দেশের প্রায় সব মার্কেট কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে সেগুলো না খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও খুলনার ব্যবসায়ীরা সেটা করলেন না। স্বাস্থ্যবিধি এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে ঈদ মার্কেট করা ক্রেতাদের কঠিন হয়ে পড়বে। এর কারণে অনেকেই এটা মানবে না।