
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ’র টাকা বিতরনকে কেন্দ্র করে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা চলছে। জনপ্রিয়তার র্শীষে অবস্থান করায় আমাকে সেই অবস্থান থেকে বাহির করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সাথে দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম একথা বলেন।
জানা যায়, কুলিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওর্য়াডে ৪৭৫৫টি কার্ডের বিপরীতে প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৪৫০টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত রবিবার (৯মে) সকালে কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উক্ত টাকা বিতরন কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুজিবর রহমান ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার।
সে সময় তারা অভিযোগ পান ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিকাশ সরকার সরকারি অনুদানের ৭০৪টি কার্ডের যে টোকেন দিয়েছে তাতে লেখা আছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। সম্মানিত ওয়ার্ডবাসী আপনাদের সেবায় আমরা নিয়োজিত, আলহাজ¦ আসাদুল ইসলাম(চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত, ১নং কুলিয়া ইউপি) মোবাঃ ০১৭১১-৯৮৮০০১ পাশে আনারস প্রতীক। শ্যামলী রাণী মন্ডল(মহিলা মেম্বর) মোবাঃ ০১৭৪৪-৭৬৪৭৭২ পাশে মাইক প্রতীক। বিকাশ সরকার (মেম্বর) মোবাঃ ০১৭২৩৩৯৫৪৮১ পাশে সিলিং ফ্যান প্রতীক। অতিথিরা উদ্ধোধনের পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ৯নং ওয়ার্ডের ৭০৪টি কার্ডের বিপরীতে প্রতি কার্ডের পরিবর্তে ৪৫০টাকা করে মোট ৩১৬৮০০ টাকা দেওয়া বন্ধ রাখে।
কুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরো বলেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার আমি অসহায় মানুষদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টণের জন্য ইউনিয়ন ব্যাপী মাইকিং করেছি। টোকেনের ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। টোকেনে আমার সিল বা স্বাক্ষর না থাকা সত্বেও জনপ্রিয়তা ধ্বংসের লক্ষ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আমার প্রতীক আনারস হয় কীভাবে? এখনো নির্বাচনের দিন ধার্য হয়নি। তাছাড়া আমি তো এখনো চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য কোন ধরনের প্রতীক পাইনি যে আমি আনারস মার্কায় ভোট চাইবো। আমি যদি ঐ টোকেন দিতাম তাহলে কুলিয়ায় তো ৯টি ওয়ার্ড সব জায়গায় দিতাম একটি ওয়ার্ডে দিলাম কেন? আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাসানো হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেউ বলতে পারবে না কারো কাছ থেকে আমরা একটা পয়সাও নিয়েছি। কে কোন চেয়ারম্যানের দল করে সেটা আমার দেখার বিষয় না কুলিয়ার মানুষ সবাই আমার কাছে সমান। এছাড়া আমি আমার ইউপি সদস্য/সদস্যাদের বলেছি প্রকৃত অসহায় দুস্থ জনগন যেন ভিজিএফ’র আর্থিক অনুদান পায়। আমি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিকাশ সরকার বলেন আমি গত করোনাকালীন সময় এরকম টোকেন দিয়ে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছি। তখন কোন সমস্যা হয়নি এই মনে করে আমি উক্ত টোকেন এবারও ব্যবহার করছি। এবিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম কিছু জানে না। আমি নিজে থেকেই এটা করেছিলাম।
তবে টোকেনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কোন সিল বা স্বাক্ষর নাই। এদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কিছু না জানা সত্ত্বেও কিছু মহল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফাসানোর চেষ্টা করছে। তবে এলাকাবাসীর ক্ষোভ টোকেনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিল বা স্বাক্ষর নাই তিনি জানেন না তাহলে কিভাবে তাকে দোষী বলা হলো তার নামে কেন মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে? এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।