
মো. কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুতে মেরামতের নামে অনিমেশ বড়–য়া মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবি কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে ৫২ লক্ষ টাকার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্ব অঞ্চলের জিএমকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে এক আইনজবী।
নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুতে মেরামতের জন্য গত ১৩ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। উক্ত সময়ের মধ্যে রেলের ৫২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দৃশ্যমান কোন সংস্কার কাজ হয়নি। বরাদ্দকৃত টাকাগুলো ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান ও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী আত্মসাত অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী সেলিম চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এই নোটিশ প্রদান করেন।
গত সোমাবার “দৈনিক সাতনদী”তে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারের নামে গণহয়রানি শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী সেলিম চৌধুরী বলেন, কালুরঘাট সেতু দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে থাকেন। এমন জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর মেরামতের নামে অনিয়ম দুর্নীতি হবে আমার মত একজন বিবেকবান মানুষ বসে থাকতে পারে না। তাই আমি একজন রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসেবে রেল কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে জনসার্থে কৈফিয়ত চেয়েছি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামে রেলের রাজা শাহ আলম গং’রা দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সাথে আতাত করে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা লুট পাট করে নিচ্ছে। দূর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও রেল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার অনিমেশ বড়–য়া জানান, রেলের দূর্নীতি কিছু হয়নি। কাজের দৃশ্যমানের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংস্কারের অধিকাংশ কাজ হল লোহার গাডারের, ঐসব কাজ প্রতিদিন ৫ ঘন্টার সময়ে মধ্যে পর্যাপ্ত কাজ করা সম্ভব নয়। রাতের বেলা ৫ ঘন্টা গাড়ী বন্ধ রাখা হয়। তাতে দৃশ্যমান কাজ সম্পূর্ণ পারছি না।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সাথে রেলওয়ের চট্টগ্রামের দায়িত্বরত জিএম ও প্রধান প্রকৌশলীর সখ্যতা রয়েছে। তারা প্রতিটি কাজের বিপরীতে পর্সেন্টিস নিয়ে থাকে। যা টপ সিকরেট।