
কামরুল হাসান, কলারোয়া: কলারোয়ায় করোনা পজিটিভ হওয়া ৭ ব্যক্তির সকলেই সুস্থ ও ভালো আছেন। তবে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত অফিসিয়ালি তাদেরকে সুস্থ ও করোনামুক্ত বলার যাবে না। তবে প্রত্যেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন বলে জানা গেছে।
প্রথম করোনা আক্রান্ত উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের দাঁড়কি গ্রামের মাজেদুল (৩৬) ও তাঁর স্ত্রী মিম (২২) বর্তমানে সুস্থ ও করোনা উপসর্গবিহিন অবস্থায় রয়েছেন বলে ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ৪ দিন আগে এ দু’জনের নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে বলে তিনি আশাবদী।। ভালো ও সুস্থ আছেন হিজলদি গ্রামের ইব্রাহিম (২২)। হোম আইসোলেশনে গান গেয়ে ও শুনে সময় কাটছে তার। ইব্রাহিমের নমুনা শুক্রবার সংগ্রহ করার কথা। এদিকে, একই ইউনিয়নের করোনা পজিটিভ নাথপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল কালাম ওরফে সালেহ (৫২), তাঁর স্ত্রী সালেহা (৪০) ও ছেলে খালিদুর (২২) বর্তমানে সুস্থ আছেন। এই পরিবারের ৩ জনের মধ্যে আবুল কালাম ওরফে সালেহ একটু অসুস্থ হয়ে পড়লেও স্ত্রী ও ছেলে পজিটিভ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ আছেন। গত দু’দিন আবুল কালাম ওরফে সালেহ ও সুস্থ বোধ করছেন। এখন তিনি ঠিকমতো খেতে পারছেন। মোবাইলে তিনি বলেন, আল্লাহ তাকে সুস্থ করে তুলেছেন। আর গত ২ জুন করোনা পজিটিভ হওয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামের নায়ারণগঞ্জ ফেরত যুবক ইমরান (২৭) সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচ এন্ড এফপিও ডা: জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার করোনা আক্রান্ত সকলেই এখনো পর্যন্ত ভালো আছেন। অনেকেই সুস্থ। কিন্তু তাদের ফলোআপ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, কলারোয়ায় গত ১৬ মে মাজেদুল, ২০ মে তাঁর স্ত্রী মিম, ২২ মে ইব্রাহিম, ২৪ মে আবুল কালাম ওরফে সালেহ, ২৭ মে তাঁর স্ত্রী সালেহা ও ছেলে খালিদুর এবং সর্বশেষ ২ জুন ইমরান করোনা পজিটিভ হন। এদের মধ্যে প্রথম ৬ জনের বাড়ি উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রামে আর ইমরানের বাড়ি ২নং জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামে।