সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৩-৪ বছর যাবত টয়লেটটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে বাথরুমের দুর্গন্ধে মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে এসে থাকেন। উপজেলা পরিষদের মূল ভবনের বারান্দার পশ্চিম পাশে পাবলিক টয়লেটটি অবস্থিত। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজনে টয়লেটে গেলে মনকষ্ট নিয়ে ফিরতে বাধ্য হন। পরিষদে যাতায়াতের সময় বাধ্য হয়ে নাকে-মুখে কাপড় দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রতিবেদককে বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত অবহেলা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার না করার ফলে বাথরুমটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাকে বিষয়টি একাধিকবার অবগত করা হলেও বাথরুমটি পরিষ্কার ও সংস্কারের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিন গিয়ে দেখতে পান, বাথরুমটি দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় অসহনীয় দূর্গন্ধে উপজেলা পরিষদের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাথরুমের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আবর্জনা। এক কথায় বাথরুম পরিণত হয়েছে ময়লার ভাঙ্গাড়ে। পাবলিক টয়লেটের দক্ষিণ পাশেই রয়েছে উপজেলা পরিষদের হলরুম, উত্তর পাশে রয়েছে পরিসংখ্যান অফিস, ফুড অফিস, পূর্ব পাশে আছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সদ্য উদ্বোধনকৃত মডেল মসজিদ। সবার সুবিধার্থে তৎকালীন সময়ে উপজেলা পরিষদের ভিতরেই নির্মাণ করা হয়েছিল বাথরুম। কিন্তু বর্তমানে বাথরুমের বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সবাই। দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার হওয়া এসব বর্জ্য একদিকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষ করে বাথরুমটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় টয়লেটের দুর্গন্ধে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষা অফিসে আগত শিক্ষক মন্ডলী। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদে সেবা ননিতে আসা বড়দল ইউনিয়নের ভবতোষ সরকার বলেন, আমি উপজেলায় এসেছি আমার এক বিশেষ কাজের জন্য। হঠাৎ পেটের ভিতর ব্যথা করায় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে আমি বাথরুমে গিয়ে দেখতে পাই সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ির পারিবারিক টয়লেট ব্যবহার করতে হয়েছে। কাদাকাটির মহাদেব গাইন বলেন, আমি অফিসিয়াল কাজে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গমন করি। শিক্ষা অফিসের পাশে পাবলিক টয়লেট থেকে ভেসে আসা দুর্গন্ধে সেখানে অবস্থান করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল। সম্প্রতি মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উক্ত বাথরুমের ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধে অনেকেই অতিষ্ট হলেও লোক লজ্জার জন্য বিষয়টি কাউকে বলতে পারেননি বলে জানান আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর বলেন, এ বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেননি। উপজেলা পরিষদে আগত সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী: দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ
পূর্ববর্তী পোস্ট