
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনির পল্লীতে দীর্ঘদিন ভোগ দখলীয় সম্পত্তি থেকে প্রতিপক্ষ কর্তৃক বসতঘর উচ্ছেদের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে ঘুরে তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্রামের আকবর সরদারের পুত্র রফিকুল ইসলাম বিগত ২০০৬ সালে ২৪৬৩, ২০০৭ সালে ৩৭৯ ও ১৮৬৯ এবং ২০০৮ সালে ৭৩৪ নং কোবলা দলিলমূলে কুন্দুড়িয়া মৌজায় ডাঙ্গা ও বিলান শ্রেনীর জমি ক্রয় করেন। চার দলিলে রফিকুল ইসলাম পার্শবর্তী পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হেমলাল বিশ^াসের পুত্র পরিতোষ কুমার বিশ^াসের নিকট থেকে এসএ ১৩৩ ও ১৪৮ খতিয়ানভূক্ত ১০৪ ও ১০৫ দাগসহ একাধিক দাগ উল্লেখ করে মোট ৮৩ পূর্ণ চার এর তিন শতক জমি ক্রয় করেন। যাহার অনেক দাগের অংশ শরিক অংশের মলিকদের বাড়ী বসতবাড়ী, পুকুর বা ভোগ দখলীয় চাষাবাদের জমি মধ্যে পড়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বিধায় শানিপূর্ণ স্ববস্থান বজায় রাখতে বাধ্য হয়ে জমি দাতা পরিতোষ বিশ^াস তার অন্যান্য শরিক অংশিদারগন ও গ্রহিতা রফিকুল ইসলামের সাথে আলোচনান্তে মৌখিক আপোষে রফিকুল ইসলামকে উল্লেখিত দুটি দাগ হতে স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা রেকর্ডীয় মালিক গনসহ গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে মাপ যোগ করে সমুদয় সম্পতি বুঝে দেন। সে থেকেই রফিকুল ইসলাম দীর্ঘ ১৪/১৫ বছর বসতঘর বেধে ছেলে মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস ও চাষাবাদ করে আসছেন। ওই জমিতে তিনি নিজ দায়িত্বে কাঁচা-পাকা বসতঘর, বনজ ও ফলজ গাছ লাগাণো এবং ধান্য চাষও করে আসছেন। জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে দলিলে খতিয়ানের অন্যান্য সব দাগ লিপিবদ্ধ করা হলেও মালিকগন যে দাগে দখল বুঝে দিয়েছেন সে দাগ দুটি ধরে রফিকুল মিউটেশান বা খারিজ খতিয়ানও করে নিয়েছেন। কিন্তু বিএস রেকর্ড মালিক পক্ষের নামে হওয়ায় পরবর্তীতে মৌখিক দখলে থাকা সম্পত্তিতে আইনী জটিলতা দেখা দেয়ার আশঙ্খায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রেকর্ড সংশোধনীর জন্য শরিক অংশিদার সুব্রত কুমার বিশ^াস দিংদের বিবাদী করে আশাশুনি সহকারী জজ আদালত, সাতক্ষীরায় দেওয়ানী ৪৫/২০ মালালা ও ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল আদালতে ৬৩১/২০১৭ দায়ের করেন, যাহা অদ্যবদি চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে বিবাদী সুব্রত বিশ^াস দিংগন দলবদ্ধ হয়ে একটি সার্থেন্বেষী মহলের ইন্দনে রফিকুল ইসলামের শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলীয় বসতঘর উচ্ছেদের পায়তারায় মামলা চলমান অবস্থায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছেন। বসতঘর সংস্কার, সংযোজন বা বিযোজন করতে প্রতিপক্ষ শরিকদাররা বিভিন্ন কায়দায় ষড়যন্ত্র ও বাঁধা সৃষ্টি করে চলেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অসহায় রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।