নিজস্ব প্রতিবেদক:
আশাশুনিতে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লি. এর মেয়াদোত্তীর্ণ পলিসির টাকা ফেরত না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শতাধিক বীমা গ্রাহক (পলিসি হোল্ডার)। টাকা ফেরত দেবার কথা বলে পলিসির মাসিক জমার পাস বই ও দলিল বাগিয়ে নিয়ে ইন্স্যুরেন্সের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া গ্রামের মৃত কচিমুদ্দীন সানার ছেলে মাও. আসাদুজ্জামান তালবাহানা করছে বলে অবিযোগ করেছে সংশ্লিষ্টরা।
কাকবাসিয়া গ্রামের আবু মুছা সরদারের স্ত্রী হালিম খাতুন জানান- মাও. আসাদুজ্জামানের পরামর্শে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে সঞ্চয়ী বীমা প্রকল্পে (পলিসি নং- ১২৬৪০৩৭৬-৫, মাসিক-১০০ টাকা কিস্তি, ১০ বছর মেয়াদী) গ্রাহক হয়েছিলাম। আমার পলিসির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আমি মাও. আসাদুজ্জামানের কাছে টাকা চাইতে গেলে তিনি বলেন- বীমাবই ও চুক্তিনামা নিয়ে এসো।
আমি তাকে সেগুলি হসআন্তর করি। এরপর তিনি আজ-কাল করে তালবাহানা শুরু করেন। তিন বছর ঘোরার পর আমি তার বাড়ী গেলে তিনি টাকা দিতে পারবেন না, টাকা অফিস থেকে নিতে বলে আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেন। আমার তিল তিল করে জমানো টাকা আমি ফেরত চাই।
একইভাবে চেচুয়া গ্রামের রফিকুল সরদারের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (পলিসি নং ১২৬৪০৪১৪-৪), আনুলিয়া গ্রামের আব্দুল্যার স্ত্রী আছমা খাতুন (পলিসি নং ১৪১১১১০৮০৭-৩), মোসলেমা খাতুনসহ আরও ভুক্তভোগী বীমাকারীরা অভিযোগ করে বলেন- মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কাছ থেকে বীমা বই ও জমা রশিদ হাতিয়ে নিয়ে সে আমাদের চোখ রাঙাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাও. আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান- আমি কাউকে হুমকি দেইনি, আমার সাড়ে ৫শ’ পলিসির মধ্যে ৪শ’ গ্রাহক তাদের টাকা ফেরৎ পেয়েছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে ৬৭ গ্রাহকের নির্বাহী রশিদ এসে গেছে। অফিসিয়াল কিছু কার্যক্রমের জন্য একটু দেরি হচ্ছে। বাকীগুলোর মেয়াদ শেষ হলে তারা পাবেন।এইমওয়ে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বর্তমানে কারাগারে থাকায় টাকা ফেরৎ দিতে ঝামেলা হচ্ছে।