
হাফিজুর রহমান: পরকীয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট ও ধরিয়ে দেওয়ায় ঘটনার পরস্পর বিরোধী অভিযোগে দুই সন্তানের জননী গৃহবধু তার ভগ্নিপতি ও পরকীয়া প্রেমিক দুই সন্তানের জনক সহ মোট ৩ জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ৮টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশদহা গ্রামে। উক্ত ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বাঁশদহা গ্রামের সুখ দেব সরকারের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রঞ্জনা সরকার(৩৮), তার ভগ্নিপতি একই গ্রামের পরিমল সরকার (৩৫) এবং পরকীয়া প্রেমিক উত্তরশ্রীপুর গ্রামের মৃত সোনাই কারিকরের পুত্র দুই সন্তানের জনক হামিদুল কারিকর (৪৫), থানা এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের সুখ দেব সরকারের স্ত্রী রঞ্জনার সঙ্গে পাশ্ববর্তী উত্তরশ্রীপুর গ্রামের মৃত সোনাই কারিকরের পুত্র হামিদুল কারিকরের দীর্ঘদিন পরকীয়া সম্পর্ক ও অবৈধ মেলামেশা চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে সুখ দেব এবং স্ত্রী রঞ্জনার সঙ্গে দীর্ঘদিন মনোমালিন্য চলতে থাকে। সুখ দেব কালিগঞ্জের মদিনা দর্গাহে অবস্থিত ছবিলার মেম্বর এবং কেষ্ট পদ’র মালিকানাধীন এসবি ব্রিক্স নামে একটি ইট ভাটার মুহুরী হিসাবে কাজ করে আসছে। স্বামী সুখ দেব বাড়িতে না থাকা এবং ছেলে মেয়ে বাইরে পড়াশুনা করার সুযোগে শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় পরকীয়া প্রেমিক হামিদুল প্রেমিকা রঞ্জনার ঘরে প্রবেশ করলে ভগ্নিপতি পরিমলের নেতৃত্বে এলাকাবাসী পরকীয়া প্রেমিক হামিদুল কে গনপিটুনি দিয়ে আহত করে স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার কে খবর দেয়। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে রঞ্জনাকে মারপিট করে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা হতে উপ পরিদর্শক অর্পনা রায় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় পুলিশ ভ্যান যোগে ঘটনাস্থল হইতে তিন জন কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় আনার পর অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহ বধু রঞ্জনা হামিদুলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক অস্বীকার করে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বলে জানায়। তার ভগ্নিপতি পরিমল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কূপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। কূপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভগ্নিপতি পরিমল গ্রামের লোক জন দিয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসা বন্ধু হামিদুল কে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদে মারপিট করে আটকে রাখে। উক্ত ঘটনায় গৃহ বধু রঞ্জনা বাদী হয়ে তার ভগ্নিপতি পরিমল সহ কয়েক জনের নামে ঐ রাতেই থানায় অভিযোগ করে। ঐ দিকে ভগ্নিপতি পরিমল বাদী হয়ে শালি, রঞ্জনা এবং পরকীয়া প্রেমিক হামিদুলের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারপিটের ঘটনায় আহত পরকীয়া প্রেমিক হামিদুল বাদী হয়ে পরিমল সহ গ্রামবাসীর নামে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল দিন ভর থানায় অফিসার ইনচার্জের পক্ষে স্থানীয় চেয়ারম্যান গন্যমান্য ব্যক্তি আত্নীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা মিমাংসার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হলে পৃথক ৩টিঘটনায় তাদের কে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।