
সংবাদদাতা: বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে লিখে সবাইকে চমকে দেওয়া সাতক্ষীরার যুবক হাবিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহব্বান করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া মাষ্টারপাড়া এলাকায় হাতে লেখা ওই কোরআন শরীফ দেখতে যান তিনি। এসময় গণ্যমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপচারীতাই উপরোক্ত কথা বলেন তিনি। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা হাবিবুরের সাথে যোগাযোগ করছেন। হাবিবুরের লেখা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন শরিফটি তাদের সংগ্রহে নেওয়ার জন্য। তবে গণ্যমাধ্যম কর্মীরা যদি এটা প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে বিদেশের বিভিন্ন সংস্থা বা ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের নজরে নিয়ে আসতে পারে তাহলে সেটা হাবিবুরের স্বপ্ন পূরণে অনেকাংশে ভূমিকা রাখবে। এসময় নিজের অবস্থান থেকে যতোটুকু সম্ভব হাবিবুরের স্বপ্ন পূরণে চেষ্টা করে যাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, হাবিবুর আমাদের সবার গর্ব। একারনে, আমাদের উচিত তার এই মহৎ উদ্যোগকে প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সবাইকে জানানো। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এব্যাপারে হাবিবুর রহমান বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী না হয়েও নিজ হাতে আরবি ভাষাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআন শরীফ লিখেছেন তিনি। যা আকারে ৩৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ্য ২৬৪ সেন্টিমিটার। দীর্ঘ ৬ বছর ৮মাস ২৩দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতায় লিখেছেন ৬ হাজার ৬৬৬টি আয়াত। সূরা বা পারা কলামের যেখানে শেষ হয়েছে সেই কলামের বাকি অংশে লেখা হয়েছে আল্লাহর নাম।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের দিকে সাতক্ষীরা শহর সমাজ সেবা অফিসে কম্পিউটার ইনস্ট্রাকটর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। সে সময় সমাজের অসহায় অবহেলিত গরীব মানুষের দূরবস্থা দেখে তাদের পাশে থেকে চিকিৎসাসেবার জন্য কিছু একটা করার আগ্রহ জাগে। তখন থেকে তিনি চিন্তা করেন এমন কিছু করবে যেটি বিশ্ব রেকর্ড করবে। সেই চিন্তা থেকেই ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারীতে এই পবিত্র কোরআন হাতে লেখা শুরু করি এবং চলতি বছরের ২৩ শে সেপ্টেম্বর কোরআন শরীফের লেখাগুলো শেষ করি। ১৪২ টি পাতায় লেখা এই কোরআন শরীফের ওজন হয়েছে ৪০৫ কেজি।
নিজের স্বপ্ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেশের অনেক ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা আমার লেখা কোরআন শরীফটি তাদের সংগ্রহে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, আমার ইচ্ছা সমাজের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) মানুষদের জন্য একটি হাসপাতাল করার। যেখানে শুধুমাত্র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।