
রুবেল হোসেন: বছরের পর বছর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলা, সিডর, আম্পান, ইয়াসে বিধ্বস্ত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূল। এসব দুর্যোগে পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে নারীর কাঁধে। অথচ উপেক্ষিত থাকে তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা। সাতক্ষীরা জেলার সর্বদক্ষিণের সুন্দরবন উপকূলে অবস্থিত শ্যামনগর উপজেলা। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে, এখনও উপকূলের প্রায় ৯৫ শতাংশ নারী ও ৭০ শতাংশ কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষার আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তারা এখনও ঋতুস্রাবের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিনের বদলে কাপড় ব্যবহার করেন। কিশোরীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাডের কিছুটা প্রচলন হলেও নারীদের মধ্যে এই প্রচলন খুবই কম। সাতক্ষীরা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা শ্যামনগরের পদ্মপুকুরের গর্ভবতী রিজিয়া বেগমের (৩৭) ইতিপূর্বে দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি স্যানিটারি প্যাডের ব্যাপারে অজ্ঞতার কথা বলেছেন। স্যানিটারি প্যাডের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর কথার স্বতঃম্ফূর্ততা হারিয়ে গেল। অবাক আর বিস্ময়ের চোখে তিনি তাকিয়ে থাকলেন।
কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও ২০১৯/২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে খুলনা বিভাগে ২০১৯ সালে ২৩৯ জন কিশোর ও ১৬২৮ জন কিশোরী এবং ২০২০ সালে ৩১২ জন কিশোর ও ১৪০০ জন কিশোরী এই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছে।
জেলাওয়ারি হিসাবে দেখা গেছে সংখ্যায় কম হলেও সাতক্ষীরা জেলার কিশোরীরা এ বিভাগের অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছে এই দুইবছরে। সরকার কৈশোর বান্ধব ষ¦াস্থ্যসেবার উপর গুরুত্ব দিলেও কেন আশানুরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা জেলায় ২০১৭-২০২২ কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত অপারেশন প্ল্যানে বাল্যবিয়ে, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব, নারীর প্রতি সহিংসতা, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রকল্প থাকলেও, বাবা-মা, অভিভাবক, স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় গুরু, সমাজকর্মী, স্থানীয় মাতুব্বর ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়গুলো নিয়ে মাথা ঘামান না। অথচ এবিষয়ে তাদেরই সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়ার দরকার ছিল।
কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার বর্তমান মান খুবই নাজুক। এই পর্যায়ে সেবাদানকারীদের অনুপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। শ্যামনগরের বিভিন্ন কমিউিনিটি ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায় কোথাও স্বাস্থ্য কর্মীরা দেরীতে আসেন আবার কোথাও ২/৩ দিন আসেন। পাশাপাশি কৈশোর বান্ধব সেবা কেন্দ্রের সেবা সম্পর্কে কিশোর-কিশোরীদের কোন সুস্পষ্ট ধারণা নেই বা তাদের সেভাবে জানানোও হয়না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে গোপনীয়তার অভাব রয়েছে। কিশোর-কিশোরীরা সেবা গ্রহণের সময় সেবাদানকারীর কক্ষের বাইরে অযাচিতভাবে মানুষ উঁিকঝুঁকি দেয়। ফলে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে কিশোর কিশোরী বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা।
কালিগঞ্জের প্রেরণা নারী উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্যসম্মত সেনেটারী ন্যাপকিন তৈরি করে। শতাধিক নারী ও কিশোরীর মধ্যে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড প্রদান এবং সঠিক ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতামূলক বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড প্রদান এবং প্রশিক্ষণের ব্যাপারে স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের নিয়ে করা তাদের একটি প্রোগ্রামে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার সময় তারা জানতে পারেন, কিশোরীদের অধিকাংশই এখনও মায়ের দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী কাপড়ের ব্যবহার করেন।
তাঁদের মধ্যে কয়েকজন কিশোরীকে পাওয়া গেছে, যাঁরা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন; কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁদের মায়েরা এটা ব্যবহার করেন না। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণে এ সমস্যার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য যে ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম এবং অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা দরকার, উপকূলীয় অঞ্চলে সেটির প্রয়াস এখনও লক্ষ্য করা যায়নি। যে কারণে আধুনিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার পদ্ধতি ব্যবহার না করার কারণে যে ধরনের রোগ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়, সে সম্পর্কে স্থানীয় নারীদের তেমন কোনো ধারণা নেই। এখানকার নারীরা বেশিরভাগ যে ধরনের কাপড় ব্যবহার করেন, সেটি অনেক অস্বাস্থ্যকর এবং পর্যাপ্ত শুষ্ক থাকে না। পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাবে ব্যবহারের পর এসব কাপড় যথার্থ না শুকানোর কারণে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তা ছাড়া চার থেকে ছয় ঘণ্টা পরপর কাপড় বদলানোর ব্যাপারে তাঁরা কেউ সতর্ক নন; অনেকেই আবার এ বিষয়টি জানেনও না।
এক কাপড় বারবার ব্যবহার এবং দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অন্তঃসত্তা মা ও কিশোরীদের মধ্যে বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগের সময় এসব নারী আরও বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন। চারদিকে পানি থাকার কারণে তাঁদের ব্যবহূত কাপড়টি অনেক সময় ঠিকমতো ধোয়া ও শুকানোর ব্যবস্থা থাকে না। ফলে এই কাপড় ব্যবহারের কারণে তাঁদের জীবনের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। সোনালী আক্তার নামের একজন কিশোরী জানান, তিনি দোকানে স্যানিটারি প্যাড কিনতে যেতে লজ্জা পান। এ জন্য মায়ের কাছ থেকে কাপড় নিয়ে সেটি ব্যবহার করেন। মাঝেমধ্যে তাঁরা এসব কাপড় ব্যবহারের পর বিছানার নিচে অথবা চালের ফাঁকে গুঁজে রাখেন।
আশাশুনির পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মোঃ সাইফুল্লাহ আল আমিন জানান, কিশোরীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাডের প্রচলন সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হলেও সেটি এখন উল্লেখযোগ্য নয়। এ ছাড়া চল্লিশের ঊর্ধ্বে নারীরা স্যানিটারি প্যাডের ব্যবহার না করায় এসব নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য মারাত্মক বিপন্ন পরিস্থিতিতে রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব এবং দারিদ্রতার প্রভাব পড়েছে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনির হাজেরা বেগমের ওপর। ৩২ বছরের এই নারীর ৩ বার গর্ভপাত হয়েছে। পরিবারে অভাব, পুষ্টির অভাবে তিনি এখন নিয়মিতই অসুস্থ থাকেন। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জরায়ুর সংক্রমণ। এমন নিপা খাতুনদের সংখ্যা সাতক্ষীরাব্যাপী বিশেষ করে শ্যামনগর ও আশাশুনিতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শ্যামনগর অঞ্চলে নারীদের নিয়ে দীর্ঘ্যদিন ধরে কাজ করা নকশিকাথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জি । তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, উপকূল অঞ্চলে স্যানিটারি প্যাডের এখনও আশানুরূপ প্রচলন শুরু হয়নি। তা ছাড়া প্যাডের দাম এখনও সাধারণ নারীদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। তিনি আরও বলেন, শহরে নারীরা যেমন প্যাডের ব্যবহারের পর সেটিকে অতি সহজে ডিপারেশন করতে পারেন, উপকূলের নারীদের জন্য সেই সুযোগ অনেক কম। তা ছাড়া শহরের নারীরা স্যানিটারি প্যাডের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেলেও উপকূলের নারীরা এখনও সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের কারণে সাতক্ষীরা উপকূলের কৃষি ও উৎপাদন ব্যবস্থা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের কৃষিসম্পদ যেমন হারাচ্ছেন, তেমনি হারাচ্ছেন ভিটেবাড়ি। এসব পরিবারের শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে। একের পর এক দুর্যোগ, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও সুপেয় পানির অভাবে তাদের মধ্যে অপুষ্টি ও রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ছে।
উপকূলীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদনে সরাসরি প্রভাব পড়েছে। যার ফলে অভাব বেড়েছে, বেড়েছে অপুষ্টি। কৃষক পরিবারে অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে বিভিন্ন পরিবারে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বাল্যবিবাহ। এসব সীমাবদ্ধতাই হতে পারে সুস্বাস্থ্য অর্জনের অন্যতম বাধা।
লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের অকাল গর্ভপাত, প্রজননতন্ত্রের সমস্যা, ঋতুচক্রজনিত সমস্যাসহ জরায়ু কেটে ফেলার মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি কেবল উপকূলের নারীদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাবে না, বরং জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, এ নারীরাই উপকূলের কৃষি ও মৎস্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত ঘোষ বলেন, কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা সৃষ্টি করার দায়িত্ব ভভিভাবক, শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। বয়:সন্ধিকালের শিশুরা বাবা-মা অথবা তাদের শিক্ষকদের সাথে নিরাপদ যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কোন কথা বলেনা। অন্যদিকে অভিভাবকরাও বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের সচেতন করেন না। তাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন।
শ্যামনগর ও কয়রা অঞ্চলে কিশোর কিশোরী ও নারী দের নিয়ে কাজ করা প্রগতির প্রধান নির্বাহী অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সময় খুব যতœ নিয়ে বা গুরুত্ব দিয়ে কিশোর-কিশোরীদের বিশেষ করে কিশোরদের ও অবিবাহিতা কিশোরীদের সাথে কথা বলা হয়না। বিদ্যালয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা শিক্ষা কারিকুলাম অনুযায়ী চলছে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোও সময়মত খুলে না। তবে এর জন্য কারো কোন জবাবদিহিতা নেই। ফলে শ্যামনগর উপকূলের কিশোরী ও নারীরা কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না।
বয়:সন্ধিকালে কিশোরীদের নিজের দেহ ও মন নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। আর এই প্রশ্নের সঠিক জবাব না পেলে বিভ্রান্তি থেকে নানারকম ক্ষতি হতে পারে। একজন শিশু যখন বয়:সন্ধিকালে পৌঁছে, তখন সেই শিশুর জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। ছেলেমেয়েরা যদি এই বয়সটাতে বয়:সন্ধিকালের জন্য সংবেদনশীল নীতিমালা ও সুবিধাদি পায়, তাহলে তারা অনেক সমস্যার সমাধান নিজেরাই করতে পারবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
স্বাক্ষাৎকারে শিমুন সামস, শাহিন আলম, সুব্রত হালদার সহ অনেক যুব নেতা বলেছেন আমরা অর্থাৎ এই ঝুঁকিপূর্ণ বয়সে থাকা কিশোর কিশোরীরা এমন একটা কমিউনিটি বা গোষ্ঠীর মধ্যে বসবাস করি, যারা সনাতনী ধ্যানধারণা বিশ^াস করে ও চর্চা করে। পরিবার ও সমাজ যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কোন আলোচনাকে গ্রহণ করে না। বরং এই বিষয়ক আলোচনাকে ঘরে-বাইরে, এলাকায়, স্কুলে এখনো ঠেকানোর চেষ্টা করে থাকে। এসময়টাতে আমাদের অনেক পরিবর্তন হয় শরীরে, বুদ্ধিতে ও মনে। অথচ আমরা কারো সাথে তা শেয়ার করতে পারি না।
দিন দিন দুশ্চিন্তা ভর করছে উপকূলের নারীদের। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেসে যাচ্ছে তাঁদের কষ্টের ফসল। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পারিবারিক কলহ, নারী ও শিশু নির্যাতন। এই অঞ্চলের নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে অনেক পরিবারই মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিয়ে দিচ্ছে। যে বয়সে স্কুলে থাকার কথা সে বয়সে স্বামীর ঘর করছে শিশুরা। অপ্রাপ্ত বয়সে মা হয়ে নিজের ও সন্তানের জন্য স্বাস্থ্য ঝুকি তৈরি করছে তারা।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লিপিকা বিশ্বাস বলেন, ‘দুর্যোগে ও বন্যায় নারীরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। আমাদের কাছে শ্যামনগর, আশাশুনি অঞ্চল থেকে অনেক নারীরা আসেন যারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন। স্থানীয় মানুষের চাহিদার কথা শুনে তাদের মতো করে নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা স্থানীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রদানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’