
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদির আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় নিহত আরও ছয় বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, কুমিল্লা দেবিদ্বারের গিয়াস উদ্দিন, কক্সবাজারের মহেশখালীর শেফায়েত উল্লাহ, যশোর কোতোয়ালি থানার নাজমুল হাসান, যশোর সদরের রনি, কক্সবাজারের মোঃ হোসেন ও চাঁদপুরের নারায়ণপুরের তুষার মজুমদার।
গত সোমবার (২৭ মার্চ) আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় ওমরাহ যাত্রী বহনকারী একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসটি উল্টে গিয়ে তাতে আগুন ধরে যায়। এতে ২২ জন ওমরাহ যাত্রী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি। তবে এখন পর্যন্ত ১৪ জন বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়। তারা হলেন: নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, একই জেলার মো. হেলাল, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই উপজেলার রাসেল মোল্লা, লক্ষ্মীপুর জেলার সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. আসিফ হোসাইন, গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার আব্দুল লতিফের ছেলে ইমাম হোসাইন রনি ও চাঁদপুর জেলার কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া।
দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১৭ জন বাংলাদেশি। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা হলেন: চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডের সালাহউদ্দিন, পিতা: আবুল বাশার, ভোলার বুরহান উদ্দিনের আল আমিন, লক্ষীপুরের রায়পুরার মিনহাজ, পিতা: সিরাজুল্লাহ।
আরও চিকিৎসা নিচ্ছেন চাঁদপূরের কচুয়ার জুয়েল, পিতা: মোঃ জয়নাল, মাগুরার শালিখার আফ্রিদি মোল্লা, পিতা: জাকির মোল্লা, লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জের মোঃ রিয়াজ, পিতা: আবু সাইদ, কুমিল্লার লাকসামের দেলোয়ার হোসাইন, পিতা: আইয়ুব আলী ও নোয়াখালীর সেনবাগের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, পিতা: আব্দুল লতিফ।
চিকিৎসারতদের তালিকায় আরও রয়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগরের ইয়ার হোসাইন, পিতা: আব্দুল মালেক, একই এলাকার মোঃ জাহিদুল ইসলাম, পিতা: মোঃ জজ মিয়া, মাগুরার মোহাম্মদপুরের মিজানুর রহমান, পিতা: ফজলুর রহমান, যশোর সদরের মোঃ মোশাররফ হোসাইন, পিতা: কাজী আনোয়ার হোসাইন ও মোঃ সেলিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন হোসাইন আলী, কুদ্দুস, আব্দুল হাই ও রানা।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন মতে, সৌদির আসির প্রদেশ ও আবহা শহরের সংযোগ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। হতাহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
খবর পেয়ে সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স ও রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দুর্ঘটনাস্থলে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। হতাহতদের নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, বাসটিতে থাকা ৪৭ যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনই বাংলাদেশি।
সহায়তার জন্য সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে হতাহতদের পরিবারকে +966553026814 ও +966538643532 নম্বর দুটিতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।