
অনলাইন ডেস্ক :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নিজ ঘরে গণধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই নারীকে একই রাতে আরো একবার ধর্ষণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেছে মামলার প্রধান আসামি বাদল।
মঙ্গলবার বিকেলে মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে মানবাধিকার কমিশনের তদন্তদলের প্রধান আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, সেই রাতে দেলোয়ার, বাদল, কালাম, আবদুর রহিমসহ ৯ যুবক ঘরে ঢুকে ওই নারীর স্বামীকে বেঁধে তাকে প্রথমে গণধর্ষণ করে। এরপর বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে চলে যায়।
আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর আরো জানান, নির্যাতনের শিকার নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেননি কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। একই রাতে আরো একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। রাত ১২টায় মামলার প্রধান আসামি বাদল একা আবার ওই নারীর ঘরে ঢোকে। ওই সময় সে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে বাধা দেন ভুক্তভোগী নারী। কিন্তু কোনো বাধার তোয়াক্কা না করে তাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় বাদল।
এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর একলাশপুর ইউপির খালপাড় এলাকায় নিজ ঘরে স্বামীকে বেঁধে ওই নারীকে গণধর্ষণ করে দেলোয়ার বাহিনী। এরপর ওই নারীকে পিটিয়ে ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার দুপুরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় সোমবার মামলা করেন নির্যাতনের শিকার নারী। এরপর প্রধান আসামি বাদল, দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, ইউপি মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে দেলোয়ার ও সোহাগকে দুইদন ও বাদলকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।