
ইয়ারব হোসেন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর কাছে ডায়েরি বিক্রির নামে প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডায়েরি বিক্রির টাকা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে ভাগাভাগি চলছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বেশি টাকা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে,উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভায় ২০১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয় গুলোতে ১৪ হাজার ৯৯৮ জন ছাত্র ও ১৫ হাজার ৪৮৭ জন ছাত্রী রয়েছে। এ বিপুল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস শহরের ভাই ভাই প্রেস থেকে ৬১ হাজার ৫৭০টি পিচ ডায়েরি তৈরি করেছে। ডায়েরি দাম নির্ধারন করা হয়েছে ২০ টাকা করে। প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্যতামুলকভাবে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি ডায়েরি ক্রয়ের নির্দেশ দিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর জন্য ডায়েরি পাঠানো হয়েছে।
একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে, যে ডায়েরি বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে তার বর্তমান বাজারে প্রতিটি ৮-১০টাকায় পাওয়া যাবে। নিন্মমানের কাগজ দিয়ে তৈরি করা ডায়েরি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা হারে প্রায় ৬ লাখ টাকা বেশি আদায় করা হচেছ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে এ টাকার বেশির ভাগ যাচেছ উপজেলা শিক্ষা অফিসে। এ টাকা থেকে একটি ভাগ পাচেছন প্রধান শিক্ষকরা।
সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিলন শেখ জানান, অফিস থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে ডায়েরি পাঠানো হয়েছে তার বাজারে ক্রয় করা যাবে ৮-১০ টাকায়। অথচ ওই ডায়েরি ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে জোর পৃর্বক বিক্রি করা হচেছ ২০টাকা করে। এভাবে উপজেলা ২০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচেছ।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বাসুদেব কুমার সানা জানান, যে ডায়েরি দেওয়া হয়েছে তা খারাপ না। ছাত্র-ছাত্রীরা ডায়েরি ক্রয় করতে চায় না। এ জন্য অফিস থেকে তৈরি করে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্রয় করতে পারে ।