আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনির শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার মিলনায়তনে ওয়ার্ড আ’লীগ ও সচেতন এলাকাবাসীর আয়োজনে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আব্দুস ছাত্তার। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা আবু হেনা সাকিল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক অজিয়ার রহমান, বিআরডিবি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম, মেম্বার ইয়াছিন আলি, মহিলা মেম্বার তসলিমা জোয়ার্দ্দার, বকচর রেডিয়েন্স এন্ড ফ্রেন্ডশীপ ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, নাকতাড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুলফিকর আলি, শিক্ষক রুহুল আমিন, আব্দুর রব, স্কুলের এসএমসি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ। সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাকিলের দীর্ঘ ১৮ বছর ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালীন তার মাধ্যমে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি, এমন কোন জায়গা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্লাব, খেলার মাঠ, সকল সড়ক, ব্রীজ-কালভার্ট নির্মান, পাউবো’র বেড়ি বাঁধ সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। অসহায় ও দুস্থ মানুষের সরকার প্রদত্ব সব ধরনের সহযোগিতা ও ভাতা যথানিয়েমে সমন্বয় রক্ষাকারী প্রত্যেক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তালিকা তৈরী করে তা বিতরণ করা হয়েছে। মানুষের সুখে-দুঃখে চেয়ারম্যান নিজের অর্থ ও শ্রম দিয়ে পাশে থেকেছেন। তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও ষড়যন্ত্রকারী চেয়ারম্যানের ন্যায় বিচার করা, অন্যায় আবদারকে সমর্থন না দেয়া এবং কিছু রাজনৈতিক ও নির্বাচনীয় প্রতিপক্ষ ব্যক্তি স্বার্থে চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা ও সামাজিকতায় ঈশ^ান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিদ্বেষসুলভ আচরণ ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। রেডিয়েন্স ক্লাব, সবুজ সংঘ, ইয়ং ক্লাব ও বিজিএম ক্লাবে সহায়তা ও বরাদ্দ যথাযথ ভাবে ব্যয় হয়েছে এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নামে প্রকল্প করে কাজ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বলেন। ইউনিয়নের প্রত্যেক এলাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষার্থে সংযোগ সড়কের কাজও যথাযথ ভাবে হয়েছে। ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজের মজুরীর টাকা ব্যাংকে শ্রমিকদের একাউন্টে জমা ও স্ব-স্ব শ্রমিকরা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে থাকেন। পিআইও অফিসের তদারকিতে কাজ ও টাকা প্রদান করা হয়। অথচ এসব কার্যক্রমকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহাল চেয়ারম্যানের গায়ে ফেলে দিয়ে অহেতুক বিষোদগার করে চলেছেন। বক্তাগণ আরও বলেন, টিআর/কাবিখা প্রকল্পের বর্তমান সংসদ সদস্য’র মনোনীত অংশ ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল কখনও পাননি। বরং আজকের মিথ্যা অভিযোগকারীরাই পেয়েছেন এবং সে বরাদ্দ থেকে কতটুকুইবা কাজ হয়েছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সবেমাত্র শুরু হওয়া নাকতাড়া পাঞ্জেগানা মসজিদে এক টন চাউল বরাদ্দ হয়েছে। যার কাজ এখনো শুরুই হয়নি। অথচ এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের কল্প কাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। জনৈক রমেশের স্ত্রী কনিকার নামে শিশু কার্ডই হয়নি, অথচ গত দু’বছর ধরে তার প্রাপ্য অর্থ আত্মসাতের মুখরোচক কাহিনী শুধুমাত্র অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়। ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল বলেন, তার জন্মের আগেই নির্মান করা হয়েছিল তার পিতা দীর্ঘ ২৩ বছর ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন একটি শালিসবাড়ি, যা চেয়ারম্যান শুধুমাত্র সংস্কার করে বসবাস দৃষ্টি নন্দন করে বসবাস করছেন। এছাড়া ওই বাড়ীর যায়গাটি সম্পূর্ণ রেকর্ডীয় জমি বলে তিনি দাবী করেন। খাস সম্পত্তিতে তার বাড়ী নয়। এটা নিছক আগামী নির্বাচন পূর্ব অপপ্রচার করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। শুধুমাত্র সম্মানহানিকর কার্যক্রমের অংশবিশেষ। সমাবেশে বক্তাগণ সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক অপপ্রচারকারীদের ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।