নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর (মাজাট)গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন নামজারি বাতিলের জন্য ১৫০ ধারায় মামলা দ্বায়ের করেন ৷ গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ বেলা ১১টার সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উভয় পক্ষের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখেন ৷ এ সময় বিবাদীপক্ষ শ্যামনগরে নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মাদ মাঝি সহ কাঁচড়াহাটী নন্দী গ্রাম নেদু গাজীর ছেলে মোঃ সামছুর রহমান, মোঃ হযরত আলী, আমজাদ মাঝি, মোঃ লিয়াকত মাঝি, রওশন গাইন, কওছার মাঝি, হাবিবুর রহমান, আফছার মাঝি, মেয়ে মোছা: রাফিজা খাতুন, মর্জিনা বেগম কোন কাগজের ভিত্তিতে নামজারী করেছেন, কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেননি ৷
বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে শুধুমাত্র ২ জানুয়ারি ২০২৪ সালের ৫৩১৭০০১ নং আবেদনের ৫,১৯৪(IX-I)/২০২৩-২৪ অনলাইন ডিসিআর নং-২৪৮৭৮৬০২২০৫১৯৪, জেএল নং-২২, মৌজা- কাঁচড়াহাটি নন্দীগ্রাম, ৭৩৭ নং খতিয়ানে ৩৭ শতক জমির নামজারীর কাগজটি প্রদান করেন ৷
নামজারীর অনলাইনে শুধু মাত্র আইডি কার্ড ছাড়া কোন কাগজপত্র না থাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেন ৷ কিন্তু বিবাদীপক্ষ কাগজপত্র আছে মর্মে বড় একটি সময়ের আবেদন করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রথমে ৭ দিন পরে ১৫ দিনের একটি সময় দিয়েছেন ৷
প্রকাশ থাকে যে, শ্যামনগর নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মাদ মাঝি জাল কাগজপত্র তৈরি করে জমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন ৷ প্রেক্ষিতে ভূক্তোভূগী নকিপুর মাজাট গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর ১৫০ ধারায় নামজারী বাতিলের একটি মামলা দ্বায়ের করেন ৷ এ ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন ৷
মামলার প্রেক্ষিতে জানা-গেছে, এস এ রেকর্ডীয় প্রজার ওয়ারেশ তালিকা থেকে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ক্রয় করে শেখ সাইদুল ইসলাম ওরফে শেখ শহিদুল ইসলাম প্রাপ্ত হন। তাহার প্রাপ্ত অংশ থেকে তপশীল সম্পত্তি গত ইং- ২৬/১১/২০১৩ তারিখ ৫৩২৪নং রেজিঃ কোবলা দলিল মূলে রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক ক্রয় সূত্রে মালিকানা ও দখল প্রাপ্ত হন এবং প্রতিষ্ঠানের নামে নাম পত্তন করত: খাজনাদি পরিশোধ করেন।
সেখান থেকে নিম্ন তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি গত ইং- ১৯/১২/২০২২ তারিখে ৬৮৮৪নং রেজি কোবলা দলিল মূলে প্রাপ্ত হইয়ে জে,এল ২২ নং কাঁচড়াহাটী নন্দী গ্রাম মৌজার এস.এ ১০১ নং খতিয়ানে এস.এ ৩২২, ৩২৫, ৩৫৮ নং দাগে ০.১৮৫০ একর জমি নিজ নামে ৪২৬৫ (1X-1)/২২-২৩ নং নাম পত্তন খতিয়ান করত: অদ্যাবধি পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে নিরঙ্কুশ ভাবে ভোগ দখলে থাকা কালে সেখানে মাটি ভরাট করে, পাকা প্রাচীর নির্মাণ করে, গাছ-গাছালি লাগিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা সহ যাতায়াত পথ তৈরি করে রিডা প্রাইভেট হাসপাতালের ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছেন ৷
আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মাদ মাঝি জাল কাগজপত্র তৈরি করে জমি আত্মসাতের চেষ্টার করছেন ৷ আমার সঠিক কাগজপত্র থেকেও আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন ৷ নূর মোহাম্মাদের সঠিক কাগজপত্র নেই ৷ এ্যাসিল্যান্ড অফিসে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখাশুনা করলে বিবাদী নূর মোহাম্মাদ কোন কাগজ দেখাতে পারেননি ৷
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয় ১৫ দিনের সময় দিয়েছেন ৷