সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: ৫০ বছরের এক নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় এক পুরোহিত ও তার দুই শিষ্যকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় (৩ জানুয়ারি) ভারতের উত্তরপ্রদেশে রাজ্যের বদায়ুঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার (৬ জানুয়ারি) বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আসে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এবং হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, রোববার বিকালে স্থানীয় মন্দিরে পূজা দিতে গিয়েছিলেন ওই নারী। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাতে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায় ওই পুরোহিতসহ কয়েকজন।
ওই নারীর ছেলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, তাদের নিজেদের গাড়িতে করে তার মাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে যখন ফেলে রেখে গিয়েছিল তখনই তিনি মারা যান। পুরোহিত ও অন্যরা তাকে দরজার সামনে ফেলে দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
তিনি আরও জানান, তার মা নিয়মিত মন্দিরে পূজা দিতে যেতেন। রোববার বিকালে তিনি ৫টার দিকে বের হন। তবে তাকে সাড়ে ১১টার দিকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়।
বদায়ুঁ এর প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইয়াসপাল সিং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানান, নিহত নারীর গোপনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন ও পা ভাঙ্গা রয়েছে। তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। তাকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বদায়ুঁর সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট সংকল্প শর্মা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চারটি দল গঠন করা হয়েছিল। পালানোর সময় দুই শিষ্যসহ পুরোহিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে উগাইতি পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রেখা শর্মা বুধবার জানান, উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলায় ৫০ বছর বয়সী এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি জেনেছেন। কমিশনের একজন সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তারা ভুক্তভোগীর স্বজন এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করবেন।