মনপুরা (ভোলা) সংবাদদাতা:
ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় থেকে বালু উত্তোলন, প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে, আতংক বাড়ছে মেঘনার পাড়ের মানুষের। প্রশাসন নিরব, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন।
ভোলার মনপুরায় ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলো থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা করছে, মনে হচ্ছে মনপুরাকে তলিয়ে দিতে প্রতিযোগিতায় নামছে, প্রশাসন রয়েছে নিরব ভূমিকায়। উপজেলা থেকে মাত্র ২ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর ও দক্ষিণ পাশ থেকে তোলা হচ্ছে অবৈধ ভাবে বালু। এতে করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আতংকিত হয়ে পড়ছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষেরা। কখন যে শেষ হয়ে যায় স্বপ্নের ঠিকানা ভিটেমাটি।
প্রতি দিন ৩ থেকে ৪ টি নিষিদ্ধ ডেজার দিয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলো রামনেওয়াজ এর শীতাকুন্ড বাজার, নাইবের হাট,আলম বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশ ও মাষ্টার হাট এর পশ্চিম পাশ। বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতাও এগিয়ে এসব এলাকা থেকে। দেখার যেন কেউ নেই, গরীবের চোখের পানি, দুর্বিত্তের বিলাসী উল্লাস।
যুবও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সভাপতি,ভোলা ৪ (চরফ্যাশন মনপুরা) আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সাহেব দিনরাত পরিশ্রম করে নদী ভাঙ্গার প্রতিরোধে টেকসই কাজের জন্য। অনেক কষ্টের ফলে, মন্ত্রী সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একনেকের সভায় পাস করেন প্রায় হাজার কোটি টাকা নদী ভাঙ্গার প্রতিরোধ এর জন্য বরাদ্দ করে।
বালু উত্তোলন এর ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নায়ন বোর্ড চরফ্যাশন (পওর) ভোলা ২ নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান আমরা লোকজন পাটিয়েছি লোকেশন দেখার জন্য।
চরফ্যাশন নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত মনপুরা উপজেলা ) আল মোমান স্যার জানান, আমরা এর বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, কিনারা থেকে চরপরা শুরু করছে অথছ মাঝ খান থেকে বালু তোলে দেখবেন কয়েকদিন পর থেকে একেবারে কূলঘেষে নদী ভাঙ্গবে।