
পদ-পদবী নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছেই
আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর থেকে: থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের একক নেতৃত্ব থেকে বিএনপি এখন পৃথক তিনটি গ্রæপে বিভক্ত হতে চলেছে। দলের পদ পদবী না পাওয়া এবং মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত থাকায় লবিং-গ্রুপিং ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। ২০০৯ সালে এস,এম মশিউর রহমান কে সাধারণ সম্পাদক এবং এ্যাডঃ মকবুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে দলের সভাপতি এ্যাডঃ শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন একক নেতৃত্ব হাতে নেয়। এ কমিটি গঠনের পর থেকেই বিএনপির প্রবীন নেতা আলহাজ্ব মোঃ মুছার গ্রুপ দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ থেকে একেবারেই সরে আসে। দীর্ঘদিন এ গ্রুপটি নিরব থাকার পর গত দু’বছর যাবত হঠাৎ চাঙ্গা হতে শুরু হয়। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করতে দক্ষিণ বাসষ্ট্যান্ডে মোঃ মুছার বাসভবনে সংগঠনের কার্যলয় খুলে বসে। এ কার্যলয় থেকে দলের সকল কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকুরিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জি,এম মিজানুর রহমান জাতীয়বাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এফতেখার সেলিম অগ্নিসহ একাংশের নেতা কর্মীদের পদচারণায় জমজমাট করে তোলে এ কার্যালয়টি। অবশ্য শহীদ ইকবালের নারকেল পট্টির বাসভবনের কার্যলয়টিও জমজমাট হয় প্রতি বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত। এরইমধ্যে বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি করতে কার্যক্রম শুরু হয়। থানা বিএনপি সভাপতি/সম্পাদক পদ ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্বে আসা নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের মধ্যে। থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস,এম মশিউর রহমান, জি,এম মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, আসাদুজ্জামান মিন্টু, এ্যাডঃ মকবুল ইসলাম ও এ্যাডঃ মুজিবুর রহমান লবিং-গ্রুপিংয়ে নেমে পড়ে। এরই মধ্যে এস,এম মশিউর রহমান, এ্যাডঃ মকবুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, শহীদ ইকবাল প্যানেলের। অপর মুছা প্যানেল থেকে জি,এম মিজানুর রহমান এবং এ্যাডঃ মকবুল ইসলামকে সম্পাদক করতে চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ চাঙ্গা মণিরামপুর বিএনপি শিরোনামে একটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বেরিয়ে আসে নতুন নতুন অজানা তথ্য।
নির্ভরযোগ্য সংশি¬ষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, থানা ছাত্রদলের আহবায়ক করতে প্রবীন নেতা মোঃ মুছা তার প্যানেল থেকে চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বিবাহিত জুয়েল এক যুবকের নাম পাঠায় সংশি¬ষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। এনিয়ে নিজেদের মধ্যে নতুন দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয়। সূত্র জানায়, এ দ্ব›দ্ব থেকে মোঃ মুছার জৈষ্ঠ ছেলে মোঃ মঈন হোসেন দলের মধ্যে নিজেদের পরিবারের অবস্থান মজবুত করতে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ থেকে দূর্গাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরসহ বড় একটি পেশীশক্তি গ্রুপ কেন্দ্রীয় নেতা অগ্নির সার্পোটে চলে যায়। অপরদিকে পদ পদবী থেকে বঞ্চিত হওয়ার অংশকায় দূর্গাপুর গ্রাম থেকে ফিরোজ আহমেদ, তাহেরপুরে বাবুসহ শতাধিক যুবক ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ইফতেখার সেলিম অগ্নির সাথে হাত মেলায়। ইফতেখার সেলিম অগ্নি স¤প্রতি কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় দলের মণিরামপুর যুব সমাজ তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে আলহাজ্ব এ্যাডঃ শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের একক নেতৃত্ব থেকে বিএনপি এখন তিন ভাগে বিভক্ত হয়েছে। এযেন বিএনপি এখন একের ভিতর তিন।