
আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে কালের স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকা বৃহদাকৃত্রির বটবৃক্ষ উপড়ে ৩দিন ধরে সড়ক বন্ধ করে রাখলেও সরানোর প্রয়োজন বোধ করেননি কর্তৃপক্ষ। ফলে সড়ক বন্ধ হয়ে থাকায় চরম বিপত্তিতে রয়েছে এলাকাবাসী। তবে মঙ্গলবার থেকে গাছ ফ্রি উল্টো ১০ হাজার টাকা দিতে হবে এমন চুক্তিতে গাছ কেটে সরানোর কাজ চলতে পারে বলে জানাগেছে।
শনিবার (১৯ জুন) সকাল ১০ টার দিকে ২ শতাধিক (অনেকের ধারনা ৩/৪ শত বছর) বছর বয়সী বৃক্ষটি সড়কের উপর উপড়ে পড়লে সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয় এবং পরিদর্শন শেষে তারা ফিরে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পরিষদকে অবহিত করা হলেও কারো দায় নেই এমন ভাব দেখিয়ে কেউ গাছ সরাতে আসেননি। ফলে গত ৩ দিন সড়ক দিয়ে সকল যানবাহন চলাচল ও পথচারী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাকা সড়ক বন্ধ করে পড়ে থাকা বৃক্ষ সরানোর ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কার? এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে এলাকার মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে আশাশুনি ফায়ার সার্ভিস অফিসে যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, আমাদের গাছ কাটা/সরানোর কোন সরঞ্জাম নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, আমি অসুস্থ। জ্বর আক্রান্ত হয়ে গৃহেই রয়েছি। বিষয়টি দেখার সুযোগ আমার হয়নি।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক বলেন, আমি ফরেষ্ট অফিস, ইউএনও, জেলা পরিষদের সাথে বারবার যোগাযোগ করেছি। ফরেস্ট অফিস পারবেনা। ইউএনও মহোদয় জ্বরে আক্রান্ত থাকায় আসতে পারছেন না। জেলা পরিষদকে বলা হলে তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, যেভাবে পারেন গাছ সরানোর ব্যবস্থা নিতে পারেন বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর আমি বিভিন্ন জনের সাথে যোগাযোগ করি, ্একজন গাছ কেটে নেওয়ার জন্য ৪০০০০ টাকা দিতে হবে (গাছ ফ্রি), অপর জনের সাথে যোগাযোগ করলে গাছ ফ্রি, কেটে সরিয়ে নিতে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবী করে। তখন উপায়হীন হয়ে পড়ি। সবশেষ একজনের সাথে চুক্তি করেছি, সে গাছ কেটে নিয়ে যাবে, গাছ কাটার খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। সড়ক পরিস্কার করার দরকার, অন্য কোন অপসন না পাওয়ায় শেষোক্তজনকে ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছি। দেখি সে হয়তো মঙ্গলবার সকালে গাছ কেটে নিতে পারে।