নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শ্যামলী বিশ্বাস নামের এক গৃহবধু হামলার শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাকালের খেয়াঘাট নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, সুকুমার বিশ্বাস ও তার ছোট ভাই যৌথ পরিবারে একই সাথে থাকেন। হামলার শিকার শ্যামলী বিশ্বাস সুকুমার বিশ্বাসের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী।
এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মধ্যকাটিয়ার মুজিবুর পেশকার ও তার ছেলে সৌরভ হোসেন এবং বাকালের রমিজ ড্রাইভার ও তার ছেলে আলঙ্গীরের নামে অভিযোগটি দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মুজিবুর পেশায় পেশকার হওয়ার সুবাদে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে সুকুমার বিশ্বাসদের বসবাসকৃত জমি দখলে নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। ৩০ বছর যাবৎ দখলী জমি দেওয়ানী আদালত থেকে পক্ষভুক্ত না করে শুধুমাত্র ডিক্রী করে জমি জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, মুজিবুর পেশকাররা জমি দখলের পায়াতারা চালালে সুকুমার বিশ্বাস বিষয়টি জেলা আইনজীবি সমিতিকে জানায়। এ ঘটনায় আইনজীবি সমিতিতে একটি শালিসের আয়োজন করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে শালীসি সিদ্ধান্ত জানানোর কথা থাকলেও তার তোয়াক্কা না করে মুজিবুর পেশকার দলবল নিয়ে মঙ্গলবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুকুমারদের বাড়িতে হামলা করে বসে। সুকুমারদের বসতববাড়ি ভাংচুর করে গাছপালা কেটে দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সুকুমার ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী বিশ্বাস বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে মারতে শুরু করে মুজিবুর বাহিনী। এসময় গৃহবধু শ্যামলী বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমিজ ড্রাইভার ও তার ছেলে আলঙ্গীর মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন। অপরদিকে, মুজিবুর পেশকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।