সংবাদপত্র। আমরা সবাই জানি সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ। একটি সংবাদপত্রের দিকে তাকালে আমরা সমাজের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই । এজন্য সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। আয়না দিকে তাকালে যেমন নিজের চেহারাটা দেখা যায় তেমন সকটি সংবাদপত্রের দিকে তাকালে পুরা সমাজের হালচিত্রটি উপলব্ধি করা যায়।
শ্রেণীবিন্যাশিত একটি সংবাদ গুচ্ছকেই আমরা সংবাদপত্র বলি। একটি সংবাদপত্রে অনেক শ্রেনীর খবর থাকে। তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কলাম হলো সম্পাদকীয়। এটিকে পত্রিকার দর্পণ বলা হয়। একটি পত্রিকার অধীকতর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবর হলো প্রথমত ‘লীড’ দ্বিতীয়ত ‘সম্পাদকীয়’। প্রতিদিনকার ঘটনাগুলোর উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করে সংশ্ল্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্পাদকের তরফ থেকে একটি বিশেষ কলাম লেখা হয়। যেটাকে উন্নত বিশ্ব বিশেষ গুরুত্বসহকারে মূল্যায়ন করে থাকে। অথচ আমাদের দেশ বলবো না, আমাদের সাতক্ষীরা যেন তা থেকে ব্যতিক্রম। একের পর এক বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকীয় লিখে গেলেও সংশ্ল্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয় না।
গত ১৬ নভেম্বর দৈনিক সাতনদীর সম্পাদকীয় কলামে “দুর্যোগপূর্ণ উপকূকূলীয় শীক্ষক্ষা বঞ্চিত শিশুরা জীবন পোড়াচ্ছেচ্ছ ইটের ভাটায়, উপেক্ষিক্ষীত শিশু শ্রম আইন” শিরোনমে শ্যামনগরে দাদন ব্যাবসায়িদের তৎপরতা তুলে ধরা হয়। সেখানকার একাধীক পরিবার দাদন ব্যাবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে কোলের শিশু সন্তানকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিচ্ছে। ঐ দিনই শ্যামনগরে শিশু শ্রমের বলি হয় জাহিদুল ইসলাম নামের দশ বছর বয়সী এক শিশু । । কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার রামনগর এলাকার ইটেরভাটায় কাজ করতে যেয়ে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার জয়নগর গ্রামের প্রতিবন্ধী ও মানসিক ভারসাম্যহীন হামজার আলী আর মোমেনা দম্পতির একমাত্র ছেলে ছিল সে। পনের দিন আগে ইট উল্টানোর কাজের জন্য স্থানীয় শ্রমিক সর্দার রবিউল ইসলাম জাহিদুলকে কুমিল্লায় নিয়ে যায়।
এই মৃত্যুর দায় কে নেবে? কার দয়িত্ব ছিল দাদন ব্যাপারীদের রোধ করা। কাদের দায়িত্ব ছিল অভাবে শিশু বিক্রেতা পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখা? জানি না আদৌ এই প্রশ্নের উত্তর পাবো কি না!
প্রসঙ্গ: সম্পাদকীয়
পূর্ববর্তী পোস্ট