
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সোমবার আয়োজন করা হয় ‘‘দুর্গোৎসব ও বাংলাদেশ, সম্প্রিতির সেতুবন্ধন’’ অনুষ্ঠানের। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অষ্টমীর দিনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয়া হয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষকে। বিশেষ করে জেলার ৪ জন সংসদ সদস্য, জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং বিজিবির সিও এ অনুষ্ঠান বরাবর দাওয়াতপ্রাপ্ত হন এবং তারা অংশও নেন। এবারের এ অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে দাওয়াত না দেয়ার জন্য একটা পক্ষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। পক্ষটি তোপের মুখেও পড়ে বটে। অবশেষে কৌশল অবলম্বন করে পক্ষটি প্রেসক্লাবের একজন কর্মচারীকে দিয়ে সদর এমপি’র বাসভবনে একটি দাওয়াতপত্র পাঠান। পক্ষটির লক্ষ্য ছিল অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি যেন না আসেন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পক্ষটি প্রেসক্লাবের একজন কর্মচারীকে দিয়ে দাওয়াতপত্র পাঠায়ে বরং সংসদ সদস্যকে অপমান করেছেন। সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘‘অনুষ্ঠানে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু কর্র্তৃপক্ষ চাননি অনুষ্ঠানে অংশে নেই।’’ এজন্য কর্মচারী দিয়ে দাওয়াতপত্র পাঠিয়েছেন। সৌজন্যমূলক একমিনিট কথাও বলেনি দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে এ ঘটনায় তিনি অপমানবোধ করেছেন। করারও কথা। সদর সংসদ সদস্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। একজন সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে দাওয়াত দিয়ে অপমান করার যে ধৃষ্ঠতা দেখানো হলো তাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছে। প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ দাওয়াত না দিলেও কারও কোন আপত্তি থাকতো না হয়তো। কারণ কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে বিষয়টি। সেক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন তোলারও সুযোগ থাকতো না কারও। এ ঘটনার বিক্ষুদ্ধ প্রেসক্লাবের একাংশ অনুষ্ঠান বয়কটও করেছেন। বয়কটকারীর সংখ্যাটিও হেলাফেলার নয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মান্যবর অতিথিদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মনোভাবের খবর আছে। একটি সুন্দর অনুষ্ঠানে এবার যে বিষবাষ্প ছড়ানো হলো আগামীতে তা সম্প্রীতির সেতুনবন্ধন না হয়ে অসম্প্রীতির সেতুভঙ্গের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। প্রেসক্লাব সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান প্রশ্নবানে জর্জরিত হোক এটা কারো কাম্য নয়।