আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলা এলাকায় পতিত জমিতে পানিফল চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছে চাষীরা। তবে তাদের ভাগ্যে জোটেনি উপজেলা কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা। সরকারী প্রণাদনা ও একটু অনুপ্রেরণা যোগালে পতিত জমিতে পানিফল চাষে বেশ সফলতার মুখ দেখতো আরও অনেকে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর, মৌতলা, বিষ্ণুপুর, রতনপুর, ভাড়াশিমলা ও কৃষ্ণগরসহ বেশকিছু যায়গায় পতিত জমিতে পানিফলের চাষে ঝুঁকেছে কৃষকরা। দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা ও বিষ্ণুপুর এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে,জলাবদ্ধতা পতিত জমিতে দিন দিন বাড়ছে পানি ফলের চাষ, অল্প খরচে করে অধিক ফলন লাভজনক হওয়ায় পানি ফলের চাষে ঝুঁকছে এখানকার মানুষ। পানি সিঙ্গাড়া অনেকেই চিনেন এখন পানি ফল হিসেবে। পানি ফল দেখতে খানিকটা বাজারের তৈরি সিঙ্গাড়ার মতো হওয়ায় অনেকই সিঙ্গাড়া বলেও চিনেন। এদিকে এ ফলের নানা জায়গায় নানা নাম রয়েছে, স্বল্প সময়ের জন্য জমি পতিত না রেখে পানি ফলের চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। পানি ফল চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। এ ফলে পুষ্টিরমান অনেক বেশি। বিভিন্ন এলাকায় পতিত জমিতে পানি ফলের চাষ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ ফল চাষে আগ্রহ হচ্ছে এলাকার মানুষের, এদিকে প্রতিবছর বোরো ধান কাটার পর খাল, বিল, ডোবায় জমে থাকা পানিতে প্রথমে এই ফলের লতা রোপন করা হয়, তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ফল আসে প্রতিটি গাছে, এ ফল চাষে সার, কীটনাশকের তেমন প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে সোনাতলা গ্রামের নুর ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, সামছুর রহমান, চাঁচাই গ্রামের আবু সাঈদ ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই বলেন প্রতি বিঘা জমি চাষে ৮/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘা প্রতি জমিতে ২৫/৩০ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। পাইকারি বিক্রি করছে সাড়ে ৮শত টাকা মন। বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। বাজারে প্রথমে দাম ছিল ৪০/৫০ টাকা কেজিতে, এখন একটু কমে গেছে। ডোবা, আর বদ্ধ জলাশয়ে পানি ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে এই এলাকার হতদরিদ্র মানুষ। অল্প পুঁজি ব্যয়করে পানিফল চাষের মাধ্যমে দু পয়সা বাড়তি আয় করে অভাবের সংসারে স্বচ্ছতা এনেছে প্রায় একাধিক পরিবার। সিঙ্গড়া ফল কিংবা পানি ফল চাষে সরকারীভাবে যথাযথ তদারকী ও সরকারী প্রণাদনার সার বীজ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা আশা করেন চাষীরা।
প্রণোদনা দাবী সুবিধা বঞ্চিত পানি ফল চাষিদের
পূর্ববর্তী পোস্ট