
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদরের সুলতানপুরে পাওনা টাকা আদায় নিয়ে দু’পক্ষের মারামারিতে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে ইস্রাফিল নামের এক যুবক। দু’পক্ষের বচসায় আহত হয়েছে আরও তিন জন। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সুলতানপুরের চপলের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বড়বাজার কাঁচা-পাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বাবু জানান, ‘দীর্ঘদিন আমি আনিছের কাছে ১০ হাজার টাকা পাই। টাকাটা দিতে টালবাহানা শুরু করে সে। আজ(বুধবার) দুপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে সুলপুরের মধ্যে তাকে দেখে আমি পেছন থেকে ডাক দেই। এ সময় সুলতানপুরের চপলের বাড়ির সামনে আনিছ দাঁড়ায়। আমি পাওনা টাকা চাইলে চপলের বাড়ির মধ্যে থেকে কয়েকজন যুবক বের হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় চপল বাইরে এসে আমার সাথে কথা বলে। কথার একপর্যায়ে কথা কাটাকাটিতে রূপ নেয়। এমন সময় চপলের ছেলে তামজিদ গালিগালাজ করলে ইস্রাফিল তাকে বাধ সাধে। একপর্যায়ে ইস্রাফিলকে তামজিদ মারতে থাকে। তখন চপল পিছন থেকে আস্ত ইট দিয়ে ইস্রাফিলের মাথায় সজোরে আঘাত করে। ইস্রাফিলের মাথা ফেটে রক্ত পড়তে থাকে। হঠাৎ চপলের ছেলে তামজিদ ইস্রাফিলের ফুসফুস বরাবর ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে ইস্রাফিলের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার হাত থেকে ছুরি নিয়ে ফারুক ইস্রাফিলের পেটে আরেকটি পোঁচ দেয়। হামলার সময় আরও অংশ নেয় সালাম ও আনিছ সহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জন। ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ইস্রাফিলের অবস্থা শংকট জনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করে। পরে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তার অপারেশন শেষে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ইস্রাফিল এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষণে। আমিও তাদের হাতে আহত হয়েছি।’
অপরদিকে চপল জানান, ‘আমার বাড়ির সামনে গোলযোগ দেখে আমি বাইরে এসে দেখি বড় বাজারের সেক্রেটারি বাবু আনিছকে মোটরসাইকেলে তুলে নেয়ার জন্য পীড়াপিড়ি করছে। এসময় আমি বিষয়টি একসাথে বসে মিটমাটের প্রস্তাব দিলে একপর্যায়ে বাবুর সাথে আমার কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় আমার ছেলের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে বাবুর সাথে থাকা ইস্রাফিল যা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ইস্রাফিল আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করতে গেলে সে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এ সময় অসাবধানতা বশত ইস্রাফিলের গায়ে ছুরির আঘাতে সামান্য কেটে যায়। কিন্তু ঘটনা ফোকাসে আনতে তারা হাসপাতালে টাকা পয়সা দিয়ে ইস্রাফিলকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করিয়েছে। তার চোট গুরুতর নয়। তাদের হামলায় আমার ছেলেও আহত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সুলতানপুরের আবুল কাশেম জানান ‘চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ওই খানে গিয়ে দেখি হাতাহাতি চলছে। এসময় চপল ইস্রাফিলের মাথায় ইটের আঘাত করলে আমি গিয়ে ঠেকাতে যাই। চপলকে মারতে বাধা দিলে চপল আমাকেও ইট দিয়ে কয়েকটি আঘাত করে। এরই মধ্যে তামজিদ ইস্রাফিলের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।’
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত ইস্রাফিল সংকটাপূর্ণ অবস্থায় অপারেশন শেষে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আইসিইউতে ছিল এবং দু’পক্ষই এজাহার দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা যায়।
দুঃখিত:
গতকাল রাতে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট ভুলবশত অনলাইনে প্রকাশ হয়েছে। তথ্য বিভ্রাট থাকার কারনে সেটা অনলাইন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এজন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে।