
জাতীয় ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় কথা-কাটাকাটির জেরে লতিফা বেগম (৪২) নামে এক নারীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দগ্ধ নারী এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লতিফার শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫৫ ভাগ পুড়ে গেছে।
রবিবার উপজেলার রসুলুল্লাহবাদ ইউনিয়নের উত্তর দাররা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লতিফা বেগম ওই এলাকার মো. জাকারিয়ার স্ত্রী। তিনি রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে উপজেলার কালঘড়া গ্রামের হেলাল সরকারের মেয়ে লতিফা বেগমের সাথে উত্তর দাররা গ্রামের জিন্নাত আলী বেপারির ছেলে আরব আমিরাত প্রবাসী জাকারিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী ও আর ছোট ছেলে কলেজে পড়াশোনা করে। দেড় বছর আগে মো. জাকারিয়া দেশে ফিরেছেন।
লতিফা বেগমের স্বামী মো. জাকারিয়া জানান, কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাই জালাল মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল জালাল। দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। লতিফা ঘরে বসে পিঠা তৈরি করছিল। এই সুযোগে জালাল পেছন দিক থেকে এসে লতিফার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আগুনে তার সারা শরীর ঝলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা লতিফাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করেন। জালালের সাথে আমারও মাঝে মাঝে ঝগড়া হতো। কিন্তু সে এই কারণে অমানুষের মতো কাজ করবে! আমার স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অভিযুক্ত জালাল একজন মাদকাসক্ত। পারিবারিক বিবাদ নিয়ে সে এই কাজ করেছে। অভিযুক্ত পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনো পায়নি।