
জাতীয় ডেস্ক:
পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ক্যাপিটাল ড্রেজিং সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে, পায়রা দেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্রবন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। আজ থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম সমুদ্র বন্দর। এটি দেশের স্বাধীন একটি সমুদ্র বন্দর। আগামী বছর থেকে বন্দরটি নিজস্ব আয়ে চলার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ৮ থেকে ১০ গুণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে পায়রা সমুদ্রবন্দরের সম্মেলন কক্ষে ড্রেজিং কার্যক্রম শেষে চ্যানেল হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের ফলে ৭৫ নটিক্যাল মাইল দৈর্ঘ্য, ১০.৫ মিটার গভীরতম এবং ১১০-২০০ মিটার প্রস্থের একটি চ্যানেল সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে, প্যানামেক্স সাইজের বড় মাদার ভ্যাসেল সহজে প্রতিনিয়ত বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘৪০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য বোঝাই জাহাজের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের লাইটারেজের প্রয়োজন হবে না। এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
সোহায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘শুধু ড্রেজিং নয় সমান তালে এগিয়ে চলছে বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। মে মাসে বন্দরের প্রথম টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ইনার ও আউটার বারে মার্কিং ও বয়াবাতি বসানো হয়েছে। ইনার বারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বেলজিয়াম ভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নূল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তারা মেনেটেইনেন্স ড্রেজিং করবে।’