
লিটন ঘোষ বাপি, দেবহাটা থেকে: দেবহাটায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে মাঘরী গ্রামের ভিক্ষুক জোহরা বেগম (৬৫) বসতঘর। ঘর ভেঙে পড়ায় বর্তমানে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে তার। কয়েকদিনের বৃষ্টির প্রভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘরটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। আর সে সময় জোহরা বেগম ঐ ঘরের মধ্যে অবস্থাান করছিলেন। আর এতে ঘর ভেঙে পড়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জোহারার স্বামী আব্দুল জব্বার কারিগর প্রায় ১৬ বছর আগে মারা গেছেন। স্বামীর পারিবারিক অবস্থা ভালো না থাকায় তেমন কোন সুযোগ সুবিধা না পেয়ে স্বামীর মৃত্যুর পর অন্যের কাছ থেকে চেয়ে কোন রকম দিন পার করতেন। স্বামীর বাড়িতে ভালো বাসস্থাান না থাকায় কোন রকম পলিথিনে ঘেরা ও টালির ছাউনি খুঁপড়িতে বসবাস করতেন জোহরা। বসতঘরটি ঝড় বৃষ্টিতেই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরের ছাউনি দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ে। এতে নিমেশেই শেষ হয়ে যায় জোহরার মাথা গোঁজার ঠাই। সেই সাথে ভেঙে পড়া ঘরের আঘাতে মাথা ফেটে যায় জোহরার। ঘর ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে স্থাানীয়রা ছুটে এসে জোহরা বেগমকে আহত অবস্থাায় উদ্ধার করেন। পরে স্থাানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা শেষে প্রতিবেশীর বাড়িতে রেখে আসেন। বর্তমানে তিনি ঐ প্রতিবেশীর বাড়ির বারান্দায় দিন কাটাচ্ছেন।
স্থাানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনা শোনামাত্র আমি অসহায় জোহরা বেগমকে দেখতে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার জন্য ডাক্তার এনে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তার সুস্থাতার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থাা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পরিবারটির জন্য দরকার একটি মাথা গোঁজার ঠায়। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তার জন্য যদি একটা মাথা গোঁজার ঠায় নির্মান করার।