বিশেষ প্রতিবেদক: সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর পরিচয় দিয়ে উপজেলার খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু সহ একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারনা করছে একটি চক্র। ওই চক্রটি কৌশলে খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু সহ ভুক্তভোগীরা প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলার খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু জানান, রোববার বিকালে তালার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে ০১৭৫৯-৩৪৫৭০৭ নম্বর মোবাইল ফোন থেকে কল করে বলা হয়- আপনার ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের রাসেল সরদার নিজ বাড়িতে বেকারী তৈরী করেছে। রাসেলের বেকারী করার কোনও অনুমতি নেই। তাই তাকে ১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওদের আমার সাথে এই নাম্বারে যোগযোগ করতে বলেন। নাহলে তাদের জেল দেয়া হবে। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি ততটা খতিয়ে না দেখে রাসেল সরদারের চাচা মোজাম্মেল হক সাথে ফোনে করে উক্ত বিষয়টি জানান।
চেয়ারম্যানের দেওয়া এসিল্যান্ডের নাম্বারে রাসেল সরদার যোগাযোগ করলে বলা হয়, আপনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(০১৬৬০-১৫১৩১১) নাম্বারে কথা বলেন। রাসেলের চাচা মোজাম্মেল (০১৬৬০-১৫১৩১১) নাম্বারে যোগাযোগ করলে অনুমোদন বিহীন বেকারী পরিচালনার দায়ে তার ভাইপোকে ১,০০,০০০/=(এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আপনি টাকা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। রাসেল ও চাচা মোজাম্মেল টাকা নিয়ে শুরো করেন দরকষাকষি। সর্বশেষে ২০ হাজার টাকা পরে ১৬ হাজার টাকা নিতে প্রতারক চক্র রাজি হয়। রাসেল সরদার টাকা নিয়ে তালায় যাওয়ার পথে রওনা হলে পথে মধ্য (০১৬৬০-১৫১৩১১) হতে ফোনে আসে ও টাকা বিকাশ করে দিতে বলা হয়। প্রতারকের কথা মত রাসেল ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। তবে এই টাকা প্রতারকের কাছে বিকাশ করে পাঠানোর বিষয়ে চেয়ারম্যান কিছুই জানলেও আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছেন প্রতিপক্ষরা।
ঘটনার বিষয়ে রাসেল সরদার বলেন, প্রতারক চক্র এসিল্যান্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রভাষক কিছু জানেন না।
প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু বলেন, আমার কাছে এসিল্যান্ড পরিচয়ে ফোন আসলে বিষয়টি ততটা খতিয়ে না দেখে রাসেল চাচা মোজাম্মেল যোগাযোগ করতে বলি। তারা কখন টাকা বিকাশের মাধ্যমে আদান-প্রদান করেছে সেটি আমি জানিনা। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিফ-উল হাসান জানান, এটা একটা প্রতারক চক্র, বিষয়টি তদন্ত করে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।