নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা উপজেলার যুগিপুকুরিয়ায় দীর্ঘদিনের ক্রয়কৃত স্বত্ত্বদখলী সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত কেসমত এর ৩ পুত্র রহিম, রউফ ও রফিক এবং মোবারক, লতিফ, মেছের আলী ও মোজাহার গংদের বিরুদ্ধে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, “তালা উপজেলার শাকদহ মৌজার, জে.এল নং ১০৫ এর এস.এ ১৭৯৪, ডিপি ১৮৮৪ নং খতিয়ানের ১৮৭৫ দাগের রেকর্ডীয় গাতিদার পনাউল্লাহ বিশ্বাস এর নিকট থেকে বিগত ১৯৪৬ সাড়ে ৫২ শতক জমি খরিদ করেন একই এলাকার মৃত আরশাদ আলী। আরশাদ আলীর মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তির ৩২ শতক তার ৩ পুত্র রজব আলী, নজর আলী ও আনছার আলীর নামে রেকর্ড হয়। বাকী ২০ শতক সম্পত্তি আরশাদ আলীর পুত্র আবু বকর, কন্যা গোলাপী বিবি ও আকুল বিবির নামে রেকর্ড হওয়ার কথা থাকলেও তাদের নামে কোন সম্পত্তি রেকর্ড হয় নি। এ বিষয়ে আরশাদ আলীর মৃত্যুান্তে জমির ওয়ারেশ হওয়া তার পুত্র নজির আলী ও এক্ষণে মৃত রজব আলীর পুত্র মনিরুল, কন্যা মরিয়মের অভিযোগ প্রতিপক্ষরা উক্ত ২০ শতক সম্পত্তি তাদের নামে ভুয়া রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। উক্ত রেকর্ড বুনিয়াদে উক্ত ২০ শতক সম্পত্তি প্রতিপক্ষ মৃত কেসমত এর ৩ পুত্র রহিম, রউফ ও রফিক এবং মোবারক, লতিফ, মেছের আলী ও মোজাহার গং জবর দখল করছেন বলে মৃত আরশাদ আলীর ওয়ারেশগণ অভিযোগ করেন। উক্ত বিষয়ে ইতিপূর্বে উভয় পক্ষ সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। যেসব মামলা এখনো চলমান আছে। এছাড়াও গত ১/০৪/২০২৩ তারিখে সরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই শালিশের মাধ্যমে উক্ত ২০ শতক বিরোধীয় সম্পত্তি ভোগ দখল করার জন্য মৃত আরশাদ আলীর ওয়ারেশগণের পক্ষে রায় দেন। এরই মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে উভয় পক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকালে মৃত রজব আলীর কন্যা মরিয়মকে মারপিটের অভিযোগ ওঠে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত মরিয়ম বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় আহত মরিয়মের পুত্র মাসুদ রানা পাটকেলঘাটা থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা হলেও প্রধান আসামী মনির হোসেন বাদে বাকি সকল আসামী ইতিমধ্যে আদালত থেকে জামিন লাভ করেছেন। উক্ত মারপিটের ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী দাবিদার রাইমা বেগম ও মারুফা বেগম সাতনদীকে জানান, “মরিয়ম বিবি বাজারে যাওয়ার পথে কামরুলের বাড়ির সামনে পৌছালে মনির হোসেন, রহিম, আলিম, রনি, ইব্রাহিম ও আঞ্জুয়ারা তাকে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রেধম মারপিট করে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে গেলে শহিদুল, লতিফ, মাছুমা খাতুন ও হাসিনা বেগম বলেন মরিয়মের নেতৃত্বে তাদের বাড়ির মহিলারা প্রথমে ঝগড়া করতে আসে। একপর্যায়ে মহিলাদের মধ্যে ধস্ত¡স্তির ঘটনা ঘটে। ঔ সময় কোন পুরুষ লোক বাড়ি ছিল না।”
গৃহবধু মাসুমা বেগম বলেন, “আমার বাড়িতে আমার বাচ্চার জন্মদিনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে আশেপাশের বাচ্চারা আমন্ত্রিত ছিল। সেখানে মনির হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া (১০) মরিয়ম বিবির গায়ে থু থু দেওয়াকে কেন্দ্র করে মরিয়ম বিবি ও তাদের বাড়ির মহিলারা আমাদের বাড়িতে এসে সুমাইয়াকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে সুমাইয়ার মা সহ কিছু মহিলারা আসলে মারামারির ঘটনা ঘটে।”
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত: মোবারকের পুত্র লতিফ ও মোজাহার আলীর পুত্র শহিদুল জানান, “আমরা আমাদের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছি। আমরা তাদের কোন সম্পত্তি জবর দখল করে রাখি নাই।”
তালার যুগুপুকুরিয়ায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট