
বিশেষ প্রতিবেদক, তালা:
তালা বাজার বণিক সমিতি ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে বৈধ মনোনয়ন বাতিল, ভোটার তালিকায় কারচুপি, মনোনয়নপত্র বাতিলের তথ্য প্রকাশ না করা, প্রতিক বরাদ্দ না দেওয়ার, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় একাধিক প্রার্থী কে বিজয়ী ঘোষনা করা বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন। এঘটনায় আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান থাকা সত্বেও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে ধোঁয়াশার পরিবেশ সৃষ্টি করছেন একটি কুচক্রী মহল। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বিতর্কিত নির্বাচন।
সূত্র মতে জানা যায়, মেরুদন্ড হীন জনপ্রতিনিধি ও পক্ষপাতীত্ব প্রশাসনিক ব্যবস্থা জনপদ তালা উপজেলায় বে আইনি ভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন । গত ১৩ ই ফেব্রুয়ারি তালা বাজার বণিক সমিতির তথাকথিত নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা অন্তে ১৫ টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার আহ্বান জানান।
সেই মোতাবেক তালা বাজার বণিক সমিতির অধিনে উক্ত বাজারের মেসার্স আম্মাজান এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বধীকারী সর্বশেষ ভোটার তালিকার ৭২৫ নং ক্রমিকের ভোটার থাকায় সাংবাদিক এস এম হাসান আলী বাচ্চু দপ্তর সম্পাদক পদে ১৯ শে ফেব্রুয়ারি তিন হাজার টাকা জামানত দিয়ে মনোনয়নপত্র গ্রহণ পূর্বক ২০ শে ফেব্রুয়ারি তালা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এই নির্বাচন কমিশন ২৪ শে ফেব্রুয়ারি দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স সংযুক্ত না থাকায় দপ্তর সম্পাদক পদে এস এম হাসান আলী বাচ্চুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। নির্বাচন এ আপিলের সময়সীমা ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মনোনয়নপত্র বৈধতা চেয়ে আপিল দায়ের করেন। আপিল শুনানির জন্য কোন প্রকার আপিল বিভাগ গঠন না করে একি কমিটি আপিল বিভাগের দায়িত্ব নিয়ে আপিল কোন প্রকার বিবেচনা না করে মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখে ২৮ শে ফেব্রুয়ারি প্রার্থী কে মৌখিক ভাবে অবগত করেন। প্রার্থীকে কোন প্রকার মনোনয়নপত্র বাতিল সংক্রান্ত লিখিত তথ্য দিতে অস্বীকার করে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন। ঐ দিনে এস এম হাসান আলী বাচ্চু তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যাহার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে দাখিল করা দরখাস্তে তদন্ত চলমান থাকায় এস এম হাসান আলী বাচ্চু দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী ৯ ই মার্চ দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অর্ডার ৩৯ রুল ১+ ২ ও ১৫১ ধারার বিধান মতে তালা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বিজ্ঞ তালা সহকারী জজ আদালত সাতক্ষীরায় দেওয়ানি -৫২/২৩ নাম্বার এর একটি মামলা দাখিল করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত ইনজেকশন প্রেয়ার গ্রহণ করে সকল বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারী করার আদেশ প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ সরকারী শেষ কার্যদিবস থাকায় উক্ত নোটিশ জারী করা ও জাবেদ নকল উত্তলন করা সম্ভব না হলে মামলার ফাইলিং ক্লিপ ও ল ইয়ার সার্টিফিকেট সংযুক্ত করে উক্ত নির্বাচন স্থগিত চেয়ে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন।
উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও কোন প্রকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল কালাম আজাদ। এহেন নির্বাচনে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানোর কারনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
এবিষয়ে তালা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ আবুল কালাম আজাদের সহিত কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, তালা বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই। এটি বন্ধ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।