
জাতীয় ডেস্ক:
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর। প্রতিদিন যে সংখ্যক মানুষ ঢাকায় ঢুকছে তাতে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সবুজ এলাকা রক্ষা করা সবার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। তাই জনবহুল ঢাকার ওপর আগে চাপ কমাতে হবে।
সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে পৃথিবীর আর কোনো শহরের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। পাঁচ হাজার জনবসতির এলাকায় যদি ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে তাহলে কীভাবে ঢাকা সুরক্ষিত থাকবে। সেজন্য একটি পরিকল্পিত ঢাকা শহরের জন্য সবার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা জরুরি। নীতিনির্ধারক, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সমাজের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশে যেকোনো পরিকল্পনা বা জননীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে যখনই তা কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় তখন সেই পরিকল্পনার বিপক্ষে তিনি অবস্থান নেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের মানসিকতা কমিউনিটির সবার মঙ্গলের জন্য পরিহার করতে হবে।
ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দায়িত্ব পালন করেছেন। ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বসবাসের স্থান, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, সবুজ ও জলজ এলাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভালো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়ছে। উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুত আর্থিক অনুদান ছাড় না দেয়ার কারণে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারছে না।
রাজধানীর খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা দূর জরার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে রাজধানীবাসী আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিতে আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যার যার দায়িত্ব পালন করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করলে জাতির পিতার সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন এবং ইউএসএইড বাংলাদেশের অফিস অব ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মোহাম্মাদ এন. খান।