
ইয়ারব হোসেন: বহুল আলোচিত পরিবহন শ্রমীক আলম হত্যা মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে ৪ জনের বিরুদ্ধে সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই শরিফ এনামুল হক আদালতে এ চার্জশীট দাখিল করেন।
চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলো সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠি গ্রামের আলমের প্রথম স্ত্রী আয়েশা খাতুন,একই গ্রামের জিয়াউর রহমান,আলগমীগর হোসেন ও ইকবল হোসেন। ঘটনার পর থেকে আলমগীর হোসেন ও তার ভাই ইকবল হোসেন পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত সদর উপজেলার গোবিন্দকাঠি গ্রামের পরিবহন শ্রমীক আলমকে প্রথম স্ত্রী মরয়িম খাতুন মিলে হত্যা করে উপরোক্ত চারজন। আলম প্রথমে বিয়ে করে মরিয়ম খাতুনকে। পরে বলাডাঙ্গা গ্রামে আরো একটি বিয়ে করে। এ নিয়ে আলম ও মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে আলমের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম খাতুনকে তালাক দেয় আলম। পরে মরিয়ম খাতুনের সঙ্গে আলমের ফের সম্পর্ক তৈরি হয়। যাতায়ত করতে থাকে মরিয়ম খাতুনের বাড়িতে। ৩০ জুলাই রাতে আলম তার প্রথম স্ত্রী মরিয়ম খাতুনের বাড়িতে যাওয়ার পথে মরিয়মের কথিত প্রেমীক জিয়াউর রহমানসহ ৩ জন বাড়ির পাশে অবস্থান নেয়। আলম মরিয়মের বাড়িতে ঢোকার আগে মরিয়ম মিলে জিয়াউর রহমান,মরিয়মের ভাই আলমগীর ও ইকবল তার আলমের উপর হামলা চালায়। হামলায় আলমের মাথায় আঘাত লেগে মারা যায়।সহ ৩ জন বাড়ির পাশে অবস্থান নেয়। আলম মরিয়মের বাড়িতে ঢোকার আগে মরিয়ম মিলে জিয়াউর রহমান,মরিয়মের ভাই আলমগীর ও ইকবল তার আলমের উপর হামলা চালায়। হামলায় আলমের মাথায় আঘাত লেগে মারা যায়। এ ঘটনায় উপরোক্ত ৪ জনকে আসামি করে আলমের ভাই বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরিফ এনামুল হক আলম হত্যা মামলায় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দিয়েছেন। ৪ জনের মধ্যে পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলার দুই জন আসামি পলাতক রয়েছে।