
জাতীয় ডেস্ক:
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে তার পদে পুনর্বহাল করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন এই সিটি করপোরেশনের ৬১ জন কাউন্সিলর।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে ওই অবেদন জমা দেওয়া হয়।
৬১ কাউন্সিলরের সই করা আবেদনে বলা হয়, জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত কাউন্সিলর ও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতেন। কিন্তু গত ১৫ মাসে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের সেচ্ছাচারিতা অনিয়ম দুর্নীতি ও সমন্বয়হীতা বর্তমানে চরমসীমায় পৌঁছে গেছে। ফলস্বরূপ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিটির উন্নয়নে যে দ্বারা চালু করেছিলেন বর্তমান প্যানেল ময়রের (কাউন্সিলর) সমন্বয় হীনতা ও জনগণের চেয়ে নিজের উন্নয়নে অধিক মনোযোগী হওয়ার কারণে আজ তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। এতে লাখ লাখ নগরবাসী তাদের প্রাপ্য নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাযত সিটি করপোরেশন অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে সরকারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্টে প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও দ্বৈত নাগরিকতাসহ ২১টি বিষয় নিয়ে রিট দাখিল রয়েছে। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট দুদককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। আমরা আপনার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি উন্নয়নের চাকা সচল রাখার জন্য জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়রের দায়িত্বে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে অব্যাহতিপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সই করা একটি চিঠির মাধ্যমে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায় জাহাঙ্গীর আলমকে। ওই ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।