গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল এবং বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার সদর উপজেলা, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১২ সহস্রাধিক মানুষ।
রবিবার বিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান।
এদিকে, গাইবান্ধা-বালাসীঘাট পাকা সড়কটির আধা কিলোমিটার এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় সড়কের উপর দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করছে। বাড়িঘরে পানি ওঠায় ওইসব বন্যা কবলিত মানুষ গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।